১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাজেটের বড় অংশ ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা চাপ বাড়াবে সাধারণ মানুষের ওপর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি আপাতদৃষ্টিতে গণমুখী ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট হিসেবে দেখা হলেও তা বাস্তবায়নে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। মোট আয়ের বড় অংশটিই ভ্যাট ও ট্যাক্স থেকে আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। অন্যদিকে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাতের ওপর বেশী নির্ভরশীল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে নতুন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। একই সাথে কালো টাকার মালিকদের ছাড় দেয়ার নীতি ভুল ম্যাসেজ যাবে সৎপথে আয় করা মানুষদের কাছে। তবে ট্যাক্সনেটের আওতা বাড়িয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবারের বাজেটে।

এককভাবে রাজস্ব আদায়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটির নাম চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ১১ মাস পর এখনো লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হলেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না কাস্টমস কর্মকর্তারা।

করোনার এই বছরে রাজস্ব আদায়ের প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের চিত্র এমনই। এই বাস্তবতায় আসছে বাজেটে মোট আয়ের ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশী ভ্যাট ও ট্যাক্স থেকেই আয় করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা অর্জন করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে এনবিআরকে।

আসছে বাজেটে কালো টাকা সাদা করতে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা।

ক্ষুদ্র, মাঝারী এমনকি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য নানামুখি সুবিধার কথা বললেও বিশাল বাজেটের বড় ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীন ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বড় অংকের লোন নেয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে দেশীয় উদ্যোক্তারা ব্যাংকের সহায়তা বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে বছর শেষে এটাকে জনবান্ধব বাজেট হিসেবে অভিহিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিধরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাজেটের বড় অংশ ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা চাপ বাড়াবে সাধারণ মানুষের ওপর

আপডেট সময় : ০৫:২৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি আপাতদৃষ্টিতে গণমুখী ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট হিসেবে দেখা হলেও তা বাস্তবায়নে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। মোট আয়ের বড় অংশটিই ভ্যাট ও ট্যাক্স থেকে আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। অন্যদিকে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাতের ওপর বেশী নির্ভরশীল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে নতুন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। একই সাথে কালো টাকার মালিকদের ছাড় দেয়ার নীতি ভুল ম্যাসেজ যাবে সৎপথে আয় করা মানুষদের কাছে। তবে ট্যাক্সনেটের আওতা বাড়িয়ে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে এবারের বাজেটে।

এককভাবে রাজস্ব আদায়ে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটির নাম চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে যার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ১১ মাস পর এখনো লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হলেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না কাস্টমস কর্মকর্তারা।

করোনার এই বছরে রাজস্ব আদায়ের প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের চিত্র এমনই। এই বাস্তবতায় আসছে বাজেটে মোট আয়ের ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশী ভ্যাট ও ট্যাক্স থেকেই আয় করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা অর্জন করতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে এনবিআরকে।

আসছে বাজেটে কালো টাকা সাদা করতে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা।

ক্ষুদ্র, মাঝারী এমনকি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য নানামুখি সুবিধার কথা বললেও বিশাল বাজেটের বড় ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীন ব্যাংকিং সেক্টর থেকে বড় অংকের লোন নেয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে দেশীয় উদ্যোক্তারা ব্যাংকের সহায়তা বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

তবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে বছর শেষে এটাকে জনবান্ধব বাজেট হিসেবে অভিহিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিধরা।