বান্দরবনে প্রতিপক্ষের গুলিতে জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী দলের ৬ জন নিহত
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
- / ১৭২২ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবনের বাগমারায় একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক সংগঠন- জেএসএস এম এন লারমা গ্রুপের ৬ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলায় ব্রাশফায়ার করে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যার কারণ সম্পর্কে প্রশাসনিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পুরো রাঙ্গামাটি শহর জুড়ে সেনা টহলসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বাগমারা বাজারের শেষ সীমানার পাহাড়ী এই বাড়িতেই হামলা চালিয়ে ব্রাশফায়ারে ৬ জনকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। নিহতরা সবাই আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জেএসএস-এর সংস্কারপন্থী গ্রুপের সদস্য। নিহতের মধ্যে সংগঠনের বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি রতন সেন তঞ্চঙ্গ্যাও রয়েছে। এই ঘটনার জন্য জেএসএস মুল দল– সন্তু লারমা গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসী জানান, গেল ৩১ মে বাগমারা বাজারের রতনের বাড়িতে অবস্থান নেন জেএসএস সংস্কারপন্থী গ্রুপের ১৪/১৫ জন সদস্য। এরপর থেকে ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তারা। ১৩ই জুন ওই বাড়িতে প্রথম দফায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সে দফায় সন্ত্রাসীরা পিছু হটলেও মঙ্গলবার সকালে ৬ জনকে হত্যা করে বীরদর্পে চলে যায় তারা।
হত্যার পর এলাকার নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনা টহলও বাড়ানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ বান্দরবার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যার কারণ জানাতে না পারলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি পুলিশের।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কারপন্থী ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামের চারটি আঞ্চলিক দল সক্রিয় রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এই চারটি সংগঠনেরই সশস্ত্র গ্রুপ ও তৎপরতা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে প্রায়ই রক্তক্ষয়ী ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এক পক্ষের সাথে অন্যপক্ষ। যার সবশেষ শিকার এই ৬ জন।