বাবুনগরীর জানাজার মাঠেই ঘোষণা করা হলো হেফাজতে ইসলামের পরবর্তি কাণ্ডারীর নাম
- আপডেট সময় : ০৫:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
দিনভর নানা গুঞ্জন শেষে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর জানাজার মাঠেই ঘোষণা করা হলো আলোচিত ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের পরবর্তি কাণ্ডারীর নাম। তারই মামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকেই পরবর্তি আমির হিসেবে বেছে নিলেন সংগঠনের বর্তমান নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি আল্লামা শাহ আহমদ শফি বা জুনাইদ বাবুনগরীর শুন্যস্থান পুরণ করা সম্ভব না হলেও তাদের আদর্শের সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নিতে ভুমিকা রাখবেন বর্তমান নের্তৃত্ব। পড়ে হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনেই লাখো ছাত্র, শিক্ষক, আলেম ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে নামাজে জানাজার পর আহমদ শফির কবরের পাশেই দাফন করা হয় জুনাইদ বাবুনগরীকে।
ছাত্রদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে নিজের শিক্ষকতা জীবনের বেশিরভাগ সময় যে মাদ্রাসায় কাটিয়েছেন; মৃত্যুর পরও সেই মাদ্রাসায় এলেন আলেমকুল শিরোমনি আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। তবে এ্যম্বুলেন্সে চেপে; নিথর হয়ে। মরদেহবাহী গাড়িটি মাদ্রাসায় এসে পৌঁছনোর আগেই হুজুরকে একনজর দেখতে লাখো মানুষের ভিড় জমে মাদ্রাসা মাঠে। এখানে স্থান সংকুলন না হওয়ায় জানাজার জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোর মাঠে। পেছনে মাদ্রাসামাঠ ছাপিয়ে জানাজায় অংশ নেয়া মানুষের ভিড় পৌছে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি মহাসড়কেও।
এদিকে, বাবু নগরীর হঠাৎ মৃত্যুতে শুন্যতা তৈরী হয় আলোচিত ইসলামী সংগঠন হেফজতে ইসলামে। কে হবেন পরবর্তি আমির তা নিয়েই দিনভর নানা গুঞ্জণ ছিলো সংগঠনের ভেতরে বাইরে। কারণ হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় সংগঠনটির পরবর্তি নেতা হিসেবে নিজেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছিলের বাবুনগরী। কিন্তু তার এই হঠাৎ মৃত্যুতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। মাদ্রাসার ভেতরে দফায় দফায় বৈঠকের পর জানাজার মাঠেই ঘোষণা করা হয় পরবর্তি আমিরের নাম।
এর আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। বলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি কিম্বা জুনাইদ বাবুনগরীর শুন্যতা পুরণ না হলেও তাদের আদর্শের মৃত্যু হবে না কখনো। আক্ষেপ জানান, মৃত্যুর আগে দেশের শীর্ষ এই আলেমের শেষ ইচ্ছা পুরণ না হওয়ায়।
এদিকে বাবুনগরীর দাফন নিয়েও দিনভর ধোয়াসা ছিলো। জানাজার আগে পরিবারের ইচ্ছায় ফটিকছড়ির বাবুনগরে দাফন হওয়ার কথা ঘোষণা করে হলেও পড়ে ছাত্র-শিক্ষক ও নেতাকর্মীদের আপত্তির মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসার পুরাতন মসজিদের কাছে আল্লামা শাহ আহম শফির কবরের পাশেই দাফন করা হয় তাকে।