বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে

- আপডেট সময় : ০৯:১০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া অবৈধ ইটভাটা কিভাবে চলছে সে প্রশ্নও তুলেছে উচ্চ আদালত। এ সময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনবলের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরা হলে ৩০ দিনের মধ্যে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে পরিবেশ অধিদপ্তরে পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এভাবেই গাছ আর কয়লা পুড়িয়ে এবং অস্বাভাবিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি করে দেশজুড়ে অবৈধভাবে চলছে সনাতনী ইটভাটা। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশেই এখন এমন ইটভাটার নজির নেই।
এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে বায়ু, অন্যদিকে কমছে ফসলি জমি। তবে উচ্চ আদালতের আদেশের পর সম্প্রতি ২৫৬টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রশ্ন উঠেছে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ছাড়াই বছরের পর বছর কিভাবে জেলা প্রশাসনের আনুকূল্যে চলেছে অবৈধ এসব ইটভাটা।
এমন বাস্তবতায় গেল ১৩ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুদূষণের কারণ এবং বায়ু দূষণরোধে কি ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা জানাতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করে হাইকোর্ট। রোববার সেই তলবে হাজির হন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.এ কে এম রফিক আহাম্মদ।
এসময় অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট জানায়, অধিদপ্তরের দুর্বলতা ও অনিয়মের সুযোগ নিয়ে চলছে অবৈধ ইটভাটা। এসময় পরিবেশ দূষণে উচ্চ আদালতের মনোভাব এবং নিজেদের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এ সময় জনবলের সীমাবদ্ধতা ঘোচাতে একমাসের মধ্যে ৫ জনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিবেশ অধিদপ্তরে পদায়নের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
পরিবেশ অধিদপ্তরকে আগামী ১০ মার্চ আদালতে অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলেও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।