বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আ’লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা
- আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
- / ১৭০৭ বার পড়া হয়েছে
এদিকে রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে, বিএনপির নেতাকর্মিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের মাঝখানে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ধ্বস্তাধস্তিরএক পর্যায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ গাবতলীর এস এ খালেক বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির অবস্থান নেওয়ায় পরপরই আওয়ামী লীগও শ্লোগানে দিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে গাবতলীতে আসতে শুরু করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যায় পুলিশ। তারা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি স্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক তুলে নিয়ে যায়।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে আসেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান।তিনি জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই রাজপথে তারা। প্রশাসনের নিরপেক্ষ আচরণ আশা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাড়ে ১১টার দিকে স্লোগান দিয়ে আমানউল্লাহ আমানকে ঘিরে ফেলে। পুরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আমানকে পাশে সরিয়ে ঘিরে রাখে।
দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় আমানউল্লাহ আমান এবং তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মিকে আটক করে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আমানকে এলাকা ত্যাগ করতে বললে, তিনি রাজী না হলে একপর্যায়ে আমানকে আটক করার উদ্দেশ্য নিয়ে যায়।এসময় অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়েন আমান। সৃষ্ট হয় বিশৃঙ্খলা। আমানকে গাড়িদে তুণে নিয়ে যায় পুলিশ।
এরপরই বিএনপির নেতাকর্মীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বাধে।
বিএনপির কর্মসূচির নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রুখতে আওয়ামী লীগ রাজপথে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাংসদ।
অনুমতি না থাকায় দু’ দলের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে জনদূভোগ কমাতেই পুলিশ সর্তক অবস্থানে থাকে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজধানীর আরেক প্রবেশমুখ উত্তরা-আব্দুল্লাহপুরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপি- পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।