বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার নাইকো মামলা চলবে
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৪৯ বার পড়া হয়েছে
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে দুদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময়ে আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র বাতিলের আবেদন খারিজ করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বারবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুদকের আইনজীবী বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় শেখ হাসিনাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গেলো ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গেলো ১৭ মে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে ১৯ মার্চের অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। এর আগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ওয়ান ইলেভেনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৩ হাজার কোটি ৭ শ ৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়ার নামে আরো ৩৭ টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।