১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এদিকে, দিল্লির পূর্বাঞ্চলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার । অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করা ৬০টি আবেদনের শুনানি শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আইনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

বিশ্ব যখন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়ে চলার জন্য সংকল্পবদ্ধ হচ্ছে। ঠিক তখনিই বিপরীত পথে হাটছে মোদির নেতৃত্বে ভারতের বিজেপি সরকার।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর, আসামের এনআরসি, বাবরি মসজিদ ও সর্বশেষ বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের মাধ্যমে কঠোর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিরোধী মনোভবের প্রকাশ করেছে ভারতের মোদি সরকার।

বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস, বিরোধীদলসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিকে, বিক্ষোভের জেরে ভারতের রাজধানী দিল্লির পূর্বাঞ্চলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬ জনকে।

এদিকে, এই আইনের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি বলেন, বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

শুধু মুসলমানরা নন, সমগ্র ভারত এই বিতর্কিত আইন দ্বারা আক্রান্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি কানহাইয়া কুমার।

এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করা ৬০টি আবেদনের শুনানি শেষে এই আইনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া আইনটি কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হলেও আদালত তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় এটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে জানুয়ারির ২২ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।

ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখতো ভারত। সেই স্বপ্নে ভাটা পড়েছে মোদি সরকারের কঠোর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিরোধী মনোভবের কারণে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত

আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিলে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এদিকে, দিল্লির পূর্বাঞ্চলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার । অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করা ৬০টি আবেদনের শুনানি শেষে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই আইনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

বিশ্ব যখন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়ে চলার জন্য সংকল্পবদ্ধ হচ্ছে। ঠিক তখনিই বিপরীত পথে হাটছে মোদির নেতৃত্বে ভারতের বিজেপি সরকার।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর, আসামের এনআরসি, বাবরি মসজিদ ও সর্বশেষ বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের মাধ্যমে কঠোর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিরোধী মনোভবের প্রকাশ করেছে ভারতের মোদি সরকার।

বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস, বিরোধীদলসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিকে, বিক্ষোভের জেরে ভারতের রাজধানী দিল্লির পূর্বাঞ্চলে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৬ জনকে।

এদিকে, এই আইনের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি বলেন, বুলেট দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

শুধু মুসলমানরা নন, সমগ্র ভারত এই বিতর্কিত আইন দ্বারা আক্রান্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি কানহাইয়া কুমার।

এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করা ৬০টি আবেদনের শুনানি শেষে এই আইনের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া আইনটি কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হলেও আদালত তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় এটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে জানুয়ারির ২২ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।

ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখতো ভারত। সেই স্বপ্নে ভাটা পড়েছে মোদি সরকারের কঠোর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিরোধী মনোভবের কারণে।