বিধিনিষেধ শিথিলে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
- আপডেট সময় : ০৪:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এদিকে, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। কোথাও কোথাও ছিল তীব্র যানজট।
ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বাস-ট্রাক, লেগুনা, সিএনজি, মিশুক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে সকাল থেকেই। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে বর্তমানে ১০টি ফেরি চলছে। ঘাটে যাত্রীর ভিড় কমলেও, নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলছে ১৫টি ফেরি। তবে পদ্মার ভাঙনে দৌলতদিয়া ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় রয়েছে। এ রুটে ১১টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট হয়েছে। পাকুল্যা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত জটের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। মহাসড়কের করটিয়া থেকে উত্তরাঞ্চলমুখী যানজট হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের মুলিবাড়ী থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত যানজট হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে যানজট আজও রয়েছে।
কঠোর লকডাউন শিথিলের পর গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। ৫০শতাংশ আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে ট্রেন ও বাসে। রাজশাহী থেকে সাতজোড়া আন্তঃনগর ও দুই জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করছে।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।