বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরির্তিত
- আপডেট সময় : ১২:১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরির্তিত হয়েছে।
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা শহরে। এ অবস্থায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার চর ও দ্বীপ চরের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে পানির উপর মানবেতর দিন যাপন করছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৫৯ টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জামালপুরে সকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় টানা ৭দিন অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর তিনদিন ধরে খুবই ধীরগতিতে কমছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানি মাত্র ৬ সেন্টিমিটার কমে সকাল ৬টার সময় বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরে সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।এর মধ্যে জেলা প্রধান তিনটি নদী অত্রাই,ছোট যমুনা করতোয়াসহ ১৯টি নদীর পানি বাড়ায় তলিতে গেছে আমনের বীজতলা।
পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি বাড়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, মাদবরেরচর ও সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের প্রায় আট হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, মানিকগঞ্জে ৭টি উপজেলায় ৭ হাজার ২৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।