বিশ্ব সাপ দিবস আজ
- আপডেট সময় : ০৭:০০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৯০ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৬ জুলাই, বিশ্ব সাপ দিবস। সাপ দিবসের উদ্দেশ্যই হলো সাপ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। প্রতিবছর ১৬ জুলাই এ দিবসটি পালিত হয়।
সাপ; নামটা শুনলেই আমাদের মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা একটা অজানা ভয় নাড়া দিয়ে ওঠে। এর জন্য দায়ী আমাদের ছোটবেলার কিছু ভুল গাইডেন্স। রূপকথার গল্পেই হোক, বা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণেই হোক, সাপ মানেই আতঙ্ক! অতএব প্রাণীটিকে দেখলেই মেরে ফেলা হোক। এমনই ঘটে চলেছে বহু যুগ থেকে। আজও তার বিরাম নেই! তাছাড়া কুসংস্কার, হিংসা, ভয় ইত্যাদি তো রয়েছেই।
তবে এটা সত্য যে, এখনও নানা প্রান্ত থেকে সাপে কাটার খবর আসে। হাসপাতালে না গিয়ে অনেকের ভরসা সেই ওঝা। আর তাতেই নেমে আসে বিপদ। সচেতনতা প্রচার সত্বেও এখনও গ্রামাঞ্চলে প্রতি বছর বহু মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়, যদিও সেসব ঘটনার অর্ধেকের কিছু বেশী ক্ষেত্রে আক্রমণ হওয়া ব্যক্তির শরীরে বিষ প্রবেশ করে। সাপের আক্রমণের শিকার হওয়ার পর সারাবিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ অন্ধত্ব বা চিরস্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব ঘটনাকে গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার সবচেয়ে উপেক্ষিত ব্যাধি বলেই ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর হারও এখানেই বেশি। দরিদ্র গ্রামবাসীরা সাধারনত সাপের কামড়ের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন। অনেক সময় প্রতিষেধক ও আধুনিক চিকিৎসার সুব্যবস্থা না থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করার কারণে দরিদ্র গ্রামবাসীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হয়।
সাপের আক্রমণের হার প্রবল এমন অনেক দেশেরই নিজেদের প্রতিষেধক তৈরির ব্যবস্থা নেই। বিষক্রিয়ার প্রভাব দূর করতে বা কমাতে সাধারণত দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যার ব্যবস্থা সর্বত্র থাকে না।