বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ২০ কর্মীর মৃত্যুদণ্ড
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৫ আসামীর যাবজ্জীন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সকালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার তিন আসামি শুরু থেকেই পলাতক।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
ওই দিন মধ্যরাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নাম্বার রুম থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়ির আঘাতে আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা। মেরে ফেলার পর আবরারের মরদেহ ঘাতকদের ধরাধরি করে নামানোর দৃশ্যটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরদিন সিসি টিভির সেই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারাদেশ। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।
ওই দিনই রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে উদ্ধার করা হয় আবরারের মরদেহ।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে আরও ছয়জনের নাম যুক্ত হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহার-বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আটজন।
মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার-বহির্ভূত আসামি।
আপস
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। কয়েক দফা রায় পেছানোর পর বুধবার মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।