বেসামাল ভোজ্য তেলের দাম
- আপডেট সময় : ০১:৫১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
উর্ধ্বমুখী ভোজ্যতেলের বাজারে আরও দাম বাড়লো সয়াবিন ও পাম অয়েলের। বোতলজাতে প্রতি লিটার তেলের দাম বেড়েছে আট টাকা। এতে চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে–ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাজারে তেলসহ সব রকম খাদ্যপণ্যের দাম টানা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশেই ভোজ্যতেলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বেসামাল ভোজ্য তেলের দাম। এমন ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশের সাধারণ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর আরেক আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তেল। তাদের চোখে মুখে শুধু হাহাকার।
দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার দায় নিতে নারাজ খুচরা বিক্রেতারা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম এখন ১৬৮ টাকা।
বিপাকে পড়েছে ছোট ছোট অস্থায়ী খাবার হোটেল ব্যবসায়ীরা। লিটার প্রতি ১৫০ টাকা খোলা তেল কিনে ব্যবহার করছে তারা।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে টানা চার মাস ধরে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী। ট্রেডিং কর্পোরেশনের তথ্যানুযায়ী, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এক বছর আগে এর দাম ছিল ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা। বর্তমান দাম ২৯ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের মতে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্য তেল ব্যবহার করা হয়। চাহিদা মেটাতে ৯০ শতাংশ আমদানি মাত্র ১০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। সংকট কাটাতে দেশে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম।
উদাসীন বাজার ব্যবস্থার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিন দিন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন, বিশেষজ্ঞরা।