বৈশ্বিক মন্দায় চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপে সরাসরি জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে
- আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৪৭ বার পড়া হয়েছে
বৈশ্বিক মন্দায় চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপে সরাসরি জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে খরচ ও লীড টাইম বাড়ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানী বাণিজ্যে। শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, বড় শিপিং কোম্পানী ফ্রেইট কমিয়ে দেয়ায়, প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না সরাসরি জাহাজ চালানো ছোট শিপিং কোম্পানী। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, সরাসরি জাহাজ চলাচলকে তারা উৎসাহিত করছেন।
করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে গতি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেইট বাড়িয়ে দেয় এমএসসি, মার্কস লাইন, এপিএল, ওয়ান লাইনের মতো লিডিং শিপিং কোম্পানী। চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপগামী একটি কন্টেইনার ভাড়া ৭ হাজার ডলার থেকে এক লাফে হয়ে যায় ১২ থেকে ১৪ হাজার ডলার। ফুটেজ-১
এই সুযোগে ফ্রেইট কিছুটা কমিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও রাশিয়া সরাসরি জাহাজ পরিচালনা শুরু করে ছোট আকারের শিপিং কোম্পানী। কিন্তু যুদ্ধের কারনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভাটা পরায় ফ্রেইট কমায় বড় কোম্পানীগুলো। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না ছোটরা। ফুটেজ-১
রপ্তানীকারকরা বলছেন, বড় বড় শিপিং কোম্পানী সিঙ্গাপুর ও মালোয়েশিয়া বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করে অপারেশন চালায়। এতে প্রতিটি চালানে অন্তত ৭ দিন সময় বেশি লাগে। তাই রপ্তানীমুখী দেশে সরাসরি জাহাজ চলাচল করলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানী বাণিজ্যে। ফুটেজ-২
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার পর বিভিন্ন রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল বাড়ায় বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের ইমেজ বেড়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে তা কমে যাওয়ায় শঙ্কিত তারা। সেটাফ
সরাসরি জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের ওপর ট্রানজিট বন্দরগুলোর প্রভাব বাড়বে। তাই যুদ্ধের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে করোনার মতো ফের সংকটে পড়তে পারে সামুদ্রিক বাণিজ্য। ফুটেজ-৩