ব্যাপক সরবরাহের পরও লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির দামে
- আপডেট সময় : ০২:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
- / ১৭২৮ বার পড়া হয়েছে
ব্যাপক সরবরাহ থাকার পরেও লাগাম টানা যাচ্ছে না সবজির বাজারে। প্রতিদিন বাড়ছে সবধরনের সবজিসহ সব রকম নিত্যপণ্যের দাম। দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোন উত্তরও মিলছে না বিক্রেতাদের কাছ থেকে।
কয়েক সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বাজারে চিনি নিয়ে চলছে কারসাজি। এরই মাঝে আবার ঊর্ধ্বমূখী সয়াবিন তেল। উত্তাপ কমছে না চালের বাজরেও। কেজিতে অন্তত ৫ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সব ধরনের চাল দাম।
অন্যসব পণ্যের মত ক্রমশ আরও লাগামহীন চালের বাজার। মৌসুমেও দাম কমবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় সয়ং খুচরো বিক্রেতারা। চালের বাড়তি দামের নেপথ্যে মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে তারা। বাজার ঘুরে দেখা যায় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে অন্তত ৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে চাল দাম।
রাজধানীর বাজারে এখনও কাটেনি চিনির কৃত্রিম সংকট। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা। পেঁয়াজ ও রসুনও কেজিও বেড়েছে ৫ টাকা। দাম বেড়েছে সবধরনের ডালের।
আবারও ঊর্ধ্বমূখী সয়াবিন তেলের বাজার। প্রতি লিটার এখন ১৭৮ টাকা। এভাবে সব রকম নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর দিতে পারছেন না বিক্রেতারা।
আসন্ন শীত মৌসুম। এই সময়ে দাম কম থাকার কথা থাকলেও চড়া সবজির বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, পুরোপুরি শীত নামলে সবজির দাম কমবে। তবে ক্রেতারা বলছেন সরবরাহ থাকলেও সবজির দাম কমার লক্ষণ নেই এখনও।
এদিকে, আগুন মাছের বাজারেও। ইলিশের দাম চড়া। চাষ করা রুই-কাতলার কেজি ৩৫০ টাকারও উপরে। আর হাজার টাকার নীচে মেলে না নদীর ছোট-মাঝারি বা বড় আকারের যে কোন মাছ। দাম বেড়েছে ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালি এবং দেশি মুরগীর দামও।
এমন পরিস্থিতিতে চাইলেই চাহিদা মত বাজার করতে পারছেন না মানুষ।