ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ আহত
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৬৬২ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একদিনে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না অভিভাবকরা। প্রাণী চিকিৎসকরা বলছেন, লাইসা ভাইরাস অথবা মাথায় আঘাত পাওয়ায় কুকুরটির ব্রেনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ কুকুর নিধন ও কুকুরের জলাতঙ্ক ভাইরাস নিরোধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে৷
গেল সপ্তাহে শহরের নয়নপুর, পুনিয়াউট, পৈরতলা ও মধ্যপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় এক কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।পরে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরেছে উত্তেজিত জনতা। কুকুর কামড়ানোর এই ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছোট শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিউরে উঠছেন কুকুরের কামড়ে আহত হওয়া লোকজন। এমনকি কুকুরটিকে মারতে গিয়েও কামড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শহরবাসীর দাবি দ্রুত কুকুরের উপদ্রব কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেবে পৌরসভা।
আহতআবাসিক মেডিকেল অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল।দের মধ্যে হাতে ও পায়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশিরভাগ। আক্রান্তের ধরন অনুযায়ী তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
লাইসা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে অথবা যেকোন আঘাতে মস্তিষ্কের সমস্যা হওয়ায় কুকুরটি এমন আচরণ করেছে, বলে মনে করছেন এই প্রাণী চিকিৎসক। লাইসা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুধু মানুষই নয় অন্য প্রাণীর উপরও হামলা করে কুকুর বলে জানান তিনি।
এদিকে সরকারি প্রকল্প না থাকায় গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুকুর নিধন কিংবা কুকুরের জলাতঙ্ক নিরোধক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ অসুস্থ এবং পাগলাকুকুর নিধন অভিযানে নামবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। দ্রুত বেওয়ারিশ কুকুর নিধন এবং কুকুরকে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ভ্যাক্সিন দিতে কার্যকরী উদ্যোগ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।