বড় দু:সংবাদ আসতে পারে দেশের কৃষি খাতে
- আপডেট সময় : ০২:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬০৩ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের কারণে বড় দু:সংবাদ আসতে পারে দেশের কৃষি খাতে। শ্রমিক না পাওয়া আর সার কীটনাশক ও ডিজেলের অপ্রতুলতায় পরিচর্চা কমেছে ফসলের মাঠে। ফলে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও, ফলনে মার খাওয়ার আশংকায় কৃষকেরা। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগের মতো মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ সংকুচিত হলেও, কৃষকদের গ্রুপ করে ভিডিও কনফারেন্সে পরামর্শ দিয়ে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছেন তারা।
বীনা মুল্যে উন্নতমানের বীজ সরবরাহ, সার কীটনাশকের বাজার নিয়ন্ত্রণ, কৃষকদের কাছ থেকে চড়া দামে ধান-চাল সংগ্রহসহ সরকারের নানা উদ্যোগে বোরো চাষে ঝুকেছে কৃষক। তাই এবার ৪৩ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি।
চৈত্র মাস শেষ হতে চললো। বৈশাখের মাঝে উঠবে বোরো ধান। মাঠে মাঠে ফুলতে শুরু করেছে ধানের শীষ। কৃষকেরা বলছেন, এ সময় আগাছার বিস্তার আর রোগ বালাই দেখা দেয়। তাই এখনকার পরিচর্চার ওপরই নির্ভর করে ফলন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস পাল্টে দিয়েছে কৃষকের হিসেব নিকেশ।
অঘোষিত লকডাউনে কমেছে কৃষি শ্রমিক। দোকান পাট বন্ধ থাকায়, মিলছে না সার-কীটনাশক। সেচ নির্ভর এই চাষে ডিজেলের জোগানও নেই। যদিও কৃষকদের সহায়তায় নানা উদ্যগের কথা জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
তবে সংকটের মাঝেও আধুনিক পদ্ধতি শুরু করেছেন কৃষকরা। পাড়ায় পাড়ায় গ্রুপ করে ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রতিবছর দেশে ধান উৎপাদন হয় সাড়ে তিন কোটি মেট্রিকটন। তার মধ্যে প্রায় দুই কোটি টনই আসে বোরো মৌসুমে। এই মৌসুম মার খেলে, ঘাটতি তৈরী হবে খাদ্য ভান্ডারে- এমনটা আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।