০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বড় ভাগ্যবান এই পুলিশ অফিসারের নাম প্রদীপ কুমার দাশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি সরকারের সময় মন্ত্রীর ডিও লেটারে নিয়োগ,ওয়ান ইলিভেন সরকারের আমলে প্রমোশন আর বর্তমান সরকারের ১২ বছর ধরেই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্র। পেশাগত দাপট খাটিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। বড় ভাগ্যবান এই পুলিশ অফিসারের নাম প্রদীপ কুমার দাশ। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে কতটা আদরের পাত্র ছিলেন তিনি, তার প্রমাণ মেলে মেজর (অব.)সিনহা হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন পর্বে এসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু মেজর সিনহা নয়, ওসি প্রদীপের নির্যাতনের শিকার প্রতিটি নাগরিকেরই অধিকার আছে ন্যায় বিচার চাওয়ার। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পেক্ষাপট তৈরী করে দিতে হবে সরকারকেই।

১৯৯৫ সাল বিএনপি সরকার আমলে এসআই হিসেবে নিয়াগ পান প্রদীপ কুমার দাশ। এরপর পদন্নতি পেয়ে হন ওসি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, পতেঙ্গা ও বিমানবন্দর থানায়ই ঘুরে ফিরে কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ সময়। এরই মধ্য শিল্পপতিদের হয়রানী, বিরোধী দলের আন্দোলন দমানার নামে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে সমালোচিত হন বহুবার।

ওসি প্রদীপ যে শীর্ষ কর্মকর্তাদের কতটা আদরের পাত্র ছিলেন তার প্রমাণ মেলে আত্মসমর্পণ পর্বে এসে। মেজর সিনহাকে হত্যা মামলায় রীতিমতো পুলিশের বহর নিয়ে মহড়া দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যান । সিরিয়াল কিলার খ্যাত এই ওসির সর্বোচ্চ পুলিশি প্রটোকলে ক্ষুব্ধ বিশ্লেষকরা।

পেশাগত দাপট খাটিয়ে বিপুল পরিমান সম্পদের পাহাড়ও গড়েছেন ওসি প্রদীপ। চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় একটি প্লট দখল করে স্ত্রীর নাম গড় তুলেছেন বহুতল ভবন। মুরাদপুর কিনেছেন জমিসহ একটি একতলা বাড়ি, আস্কারদিঘিতে ফ্লাট, কক্সবাজারের দুটি হোটেলর মালিকানার পাশাপাশি ভারতেও দুটি বাড়ি থাকার তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছ।

মেজর সিনহা হত্যার আগ পর্যন্ত শুধু টেকনাফ থানায় প্রায় দেড়শোটি ক্রসফায়ারে মাদক ব্যবসার ট্যাগ লাগিয়ে হত্যা করা হয় দুই শোর বেশি মানুষকে। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ওসি প্রদীপের নৃশংশতার শিকার একাধিক ব্যক্তি ও পরিবার। ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ দিতে বিশেষ সেল গঠনের দাবি নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকদের।

সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। আর সরকারের মহতি এই উদ্যোগকেই অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বড় ভাগ্যবান এই পুলিশ অফিসারের নাম প্রদীপ কুমার দাশ

আপডেট সময় : ০১:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

বিএনপি সরকারের সময় মন্ত্রীর ডিও লেটারে নিয়োগ,ওয়ান ইলিভেন সরকারের আমলে প্রমোশন আর বর্তমান সরকারের ১২ বছর ধরেই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্র। পেশাগত দাপট খাটিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। বড় ভাগ্যবান এই পুলিশ অফিসারের নাম প্রদীপ কুমার দাশ। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে কতটা আদরের পাত্র ছিলেন তিনি, তার প্রমাণ মেলে মেজর (অব.)সিনহা হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন পর্বে এসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু মেজর সিনহা নয়, ওসি প্রদীপের নির্যাতনের শিকার প্রতিটি নাগরিকেরই অধিকার আছে ন্যায় বিচার চাওয়ার। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত পেক্ষাপট তৈরী করে দিতে হবে সরকারকেই।

১৯৯৫ সাল বিএনপি সরকার আমলে এসআই হিসেবে নিয়াগ পান প্রদীপ কুমার দাশ। এরপর পদন্নতি পেয়ে হন ওসি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, পতেঙ্গা ও বিমানবন্দর থানায়ই ঘুরে ফিরে কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ সময়। এরই মধ্য শিল্পপতিদের হয়রানী, বিরোধী দলের আন্দোলন দমানার নামে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে সমালোচিত হন বহুবার।

ওসি প্রদীপ যে শীর্ষ কর্মকর্তাদের কতটা আদরের পাত্র ছিলেন তার প্রমাণ মেলে আত্মসমর্পণ পর্বে এসে। মেজর সিনহাকে হত্যা মামলায় রীতিমতো পুলিশের বহর নিয়ে মহড়া দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যান । সিরিয়াল কিলার খ্যাত এই ওসির সর্বোচ্চ পুলিশি প্রটোকলে ক্ষুব্ধ বিশ্লেষকরা।

পেশাগত দাপট খাটিয়ে বিপুল পরিমান সম্পদের পাহাড়ও গড়েছেন ওসি প্রদীপ। চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় একটি প্লট দখল করে স্ত্রীর নাম গড় তুলেছেন বহুতল ভবন। মুরাদপুর কিনেছেন জমিসহ একটি একতলা বাড়ি, আস্কারদিঘিতে ফ্লাট, কক্সবাজারের দুটি হোটেলর মালিকানার পাশাপাশি ভারতেও দুটি বাড়ি থাকার তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছ।

মেজর সিনহা হত্যার আগ পর্যন্ত শুধু টেকনাফ থানায় প্রায় দেড়শোটি ক্রসফায়ারে মাদক ব্যবসার ট্যাগ লাগিয়ে হত্যা করা হয় দুই শোর বেশি মানুষকে। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ওসি প্রদীপের নৃশংশতার শিকার একাধিক ব্যক্তি ও পরিবার। ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ দিতে বিশেষ সেল গঠনের দাবি নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকদের।

সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। আর সরকারের মহতি এই উদ্যোগকেই অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।