ভারত থেকে উপহার পাওয়া রেলের ১০টি ইঞ্জিন ওয়াগনজট কমাবে
- আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
ইঞ্জিন সংকটে কেবল পণ্য পরিবহনখাতেই বছরকে বছর বিপুল টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে রেলওয়েকে। বিশেষ করে ভারত থেকে রেলপথে আমদানি করা পণ্যবাহী ওয়াগন সময় মতো খালাস করা যাচ্ছে না। এ কারণে ভারতীয় রেলকে মোটা অংকের ক্ষতিপূরণও দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ভারত থেকে ১০টি ইঞ্জিন উপহার পাওয়ায় ওয়াগনজট কেটে যাবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের।
আমদানি করা পণ্যবাহী ওয়াগনের বহর নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশনগুলোতে আসে ভারতীয় ট্রেন। এরপর আইনী প্রক্রিয়া শেষে ফেরত যায় শুধুমাত্র ইঞ্জিন।আর বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন গিয়ে মালবাহী ওয়াগনের বহর টেনে নিয়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যে। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটে জট বাঁধে ওয়াগনের। ফলে ওয়াগনগুলো আনলোড করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠাতে না পারায় বিপুল অংকের ক্ষতিপূরণ দিতে হয় ভারতীয় রেলওয়েকে। সবশেষ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ভারতকে ১৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বাংলাদেশ।তবে এরপরের অর্থবছরগুলোর হিসাব এখনো নিষ্পত্তি হয় নি।
এদিকে, দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের খাতিরে সোমবার ভারত ১০টি ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ইঞ্জিন পণ্যপরিবহনের কাজেই ব্যবহার হবে। ফলে ওয়াগনজট কেটে যাবে বলে আশা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের।তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে কেবল ইঞ্জিন বাড়িয়ে সুফল মিলবে না।ভারত থেকে রেলপথে পাথর, ভুট্টা, পেঁয়াজ, ভুষি ও গমসহ বেশ কয়েকটি পণ্য সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করে দর্শনা, বেনাপোল, রহনপুর ও বিরল সীমান্ত স্টেশন দিয়ে।