ভারতের উত্তরাঞ্চলে হিমালয়ের বিশালাকার বরফের টুকরো- হিমশৈল ধসে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত আঠারো জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন দু’শো জন।

রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এই হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটলে ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নামের বাঁধটি ভেসে যায়। প্রবল পানির তোড়ে তপোবন অঞ্চলের ধৌলি গঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। বন্যার পানিতে পুরো তলিয়ে যায় ওই অঞ্চল। যেদিকে বন্যার পানি যাচ্ছে সব ধ্বংস করে ফেলছে। জরুরি কর্মীরা ইতিমধ্যে বহু গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিল। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষের নীচে সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকা পড়া ১৬ জন শ্রমিককেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের বেশিরভাগই ওই এলাকার দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক।

এদিকে, সোমবার এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে তিনি উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “প্রতিনিয়ত কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছেন এবং উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যাপারে আপডেট নিয়ে যাচ্ছেন।
“ভারতবাসী উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে এবং সেখানকার সবার সুরক্ষার জন্য তারা প্রার্থনা করছে।”বিশ্বজুড়ে নেতারাও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ভারতের প্রতি যুক্তরাজ্য সংহতি জানিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”

এদিকে, হতাহতদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য দুর্গত অঞ্চলে দেশটির সেনা, আধাসামরিক বাহিনীর কয়েকশ সদস্য ও সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাটি তদন্ত করছেন যদিও এটি হিমবাহ ধসের কারণে হয়েছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে যে এ পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে, রবিবারের এই বিপর্যয়ের পরে পরিবেশবাদীরা এমন একটি সংবেদনশীল পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ কতোটা যৌক্তিক হয়েছে সেটা পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।