ভাসানচরে নির্মিত আধুনিক আবাসস্থলে যেতে নারাজ রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ১১:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
- / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
ভাসানচরে নির্মিত আধুনিক আবাসস্থলে যেতে নারাজ রোহিঙ্গারা। ফলে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্থাপনাগুলো পরিত্যক্ত হতে চলছে। দেশি-বিদেশি প্রভাবশালী মহল রোহিঙ্গাদের ‘মিসগাইড’ করে কক্সবাজারে আটকে রেখে, সরকারকে বিপদে ফেলতে তৎপর। এমন অভিযোগ করলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রত্যাবাসনের দিকেই নজর দিচ্ছে সবাই। ভাসানচরকে আলোচনায় আনলে, ভুল ম্যাসেজ যেতে পারে আন্তর্জাতিক মহলে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর ভাষাণচরে ‘সাময়িক পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত’ নেয় সরকার। নৌবাহিনীর তত্বাবধানে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পিত নগরীও গড়ে তোলা হয় সেখানে। কিন্তু রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ছেড়ে যেতে রাজি না হওয়ায়, সরকারের উদ্দেশ্যে সফল হয়নি।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহুর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দিকেই ফোকাস করছে আন্তর্জাতিক মহল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মানবাধিকার কর্মী আবু নোমান মনে করেন, এনজিওদের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান সক্রিয় হলে এমন অবস্থা হতো না। আর বিভাগীয় কমিশনারের দাবি, প্রভাবশালী মহলের অপতৎপরতায় শুধু ভাষাণচর নয় নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতেও অনিহা রোহিঙ্গাদের।
দু’দফায় ব্যর্থ হওয়ার পর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আস্থায় আনতে ক্যাম্প কেন্দ্রীক পরিকল্পিত প্রচারণা চালানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।