ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে তথ্য আপলোড করে পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করার অপচেষ্টা
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
ভুয়া ক্লিয়ারেন্স পেপারে উপ সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি এমনকি বাণিজ্য মান্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে তথ্য আপলোড করে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করার অপচেষ্টা চালিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। পণ্য খালাসে এমন অভিনব পন্থা অবলম্বন করা দেখে হতবাক কাস্টমস কর্মকর্তারা। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাসহ সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার চকবাজারের সিয়াম এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মালোয়েশিয়া থেকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি চীনা বাদাম আর ৪ হাজার ৫১০ কেজি জলপাই আমদানী করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হয়ে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পণ্যটি খালাস করতে বাদামতলীর খান এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেছে কাস্টম হাউজে। কিন্তু চালানটি সন্দেহ হলে ওয়েবসাইটে যাচাই করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানেও আমদানী করা পণ্যের যাবতীয় তথ্য মেলে। এরপরও কৌতুহল বসত চালানটি কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়। আর এতেই বেরিয়ে আসে মিথ্যা তথ্য। কারণ চীনা বাদাম আর জলপাইয়ের বদলে কন্টেইনারে এসেছে গুড়োদুধ। পরে ঘটনাটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সবকিছুই ভুয়া।আমদানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট কারোরই অস্তিত্ব নেই। এমনকি সরকারি ওয়েবসাইটটিও নকল।
সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন বলছে, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানীর ঘটনা বহু বছর ধরেই চলছে। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত মুল হোতাদের খুজে বের করতে উদ্যোগী হচ্ছে না কাস্টমস। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এমন প্রতারক চক্রের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হয়রানীর মুখে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। এর থেকে উত্তরণে শতভাগ অটোমেশনসহ প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট বানিয়ে আনা আলোচিত এই চালানটির আমদানিকারককে ৬৬ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ও ১০ লাখ টাকা বিমোচন জরিমানা আদায় ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস। এছাড়া ভুয়া ওয়েবসাইট ও জালিয়াতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটিও করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।