ভোজ্যতেল ছাড়া রমজানে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভোজ্যতেল ছাড়া রমজানে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। তেল আর চিনি ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম এখন নিম্নমুখী। রমজানকে সামনে রেখে বড় কোন কারসাজি না হলে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে আমদানীকারকরা যাতে কোন অজুহাত তুলতে না পারে সে জন্য রমজানের পণ্যগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাস করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
সব ধরণের নিত্য পণ্যের চাহিদা বাড়ে রোজার মাসে। তবে সবচেয়ে বেশী চাহিদা থাকে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, বিভিন্ন ধরনের ডাল ও খেজুরের। বছরে ১৫ লাখ টন ভোজ্যতেলের মধ্যে শুধু রোজার মাসেই লাগে ৩ লাখ টনের বেশি। ১৪ লাখ টন চিনির মধ্যে রোজার মাসের চাহিদা তিন লাখ মেট্রিকটন। বছরে এক লাখ ২৫ হাজার টন ছোলার মধ্যে শুধু রোজার মাসে প্রয়োজন পড়ে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। ৩০ হাজার মেট্রিকটন খেজুরের মধ্যে শুধু ২৫ হাজার মেট্রিকটনই আসে রোজার এক মাসে। ফুটেজ-১
ব্যবসায়ীরা জানান, খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে এখন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে এবং দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রনে। রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে হলে তৎপরতা বাড়াতে হবে প্রশাসনকে। আমদানী নির্ভর ভোগ্যপণ্যের অধিকাংশ চালানই আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই বন্দরের ওপর দায় চাপিয়ে রমজানে যাতে কেউ ফায়দা লুটতে না পারে সে জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানালেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কথিত ওজন স্কেলে ১৩ টনের বাধ্যবাধকতায় খরচ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। তাই রমজানকে কেন্দ্র করে স্কেলের বাধ্যবাধকতা শিথিল করলে ইতিবাচক প্রভাব পরবে নিত্যপণ্যের দামের ওপর। রমজানে চাহিদা বাড়া পণ্যগুলোর অধিকাংশ দেশে উৎপাদিত হলেও তার বড় একটি অংশই আমদানী নির্ভর। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর দেশের বাজারও নির্ভরশীল অনেকটা। করোনার কারণে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণে রোজার আগে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটেজ-১