ভোট গণনা স্থগিত চেয়ে ট্রাম্পের করা মামলার আইনি ভিত্তি দুর্বল
- আপডেট সময় : ০৬:৫২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
ভোট গণনা স্থগিত চেয়ে ট্রাম্পের করা মামলার আইনি ভিত্তি খুব দুর্বল। তবে সংখ্যাগরিষ্ট বিচারপতি থাকায় সুবিধা পাবেন রিপাবলিকান প্রার্থী। সেক্ষেত্রে ২০০০ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তারা আরো জানান, নির্বাচনী ফলাফল অমীমাংসিত থাকলে, কনটিনজেন্ট ইলেকশনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করবেন নবনির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে ফয়সালা না হলে, ভাইস-প্রেসিডেন্ট বা স্পিকারকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে এর মীমাংসা টানা হতে পারে।
২০০০ সালে জয়ের খুব কাছে এসেও জনমতের ফলাফল ঘরে তুলতে ব্যর্থ হন তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আল গোর। সুপ্রিমকোর্টে সংখ্যাগরিষ্ট বিচারপতিদের সিদ্ধান্তের ফলে প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন জর্জ ডাব্লিউ বুশ জুনিয়র।দুই দশক পর আল গোরের সেই দু:খজনক স্মৃতি আবার যেন তাড়া করে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটদের । ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বর্তমান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। ঠিক তখনই বিরোধী ট্রাম্প শিবির কোন ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ভোট জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছেন, আবেদন করেছেন, জর্জিয়া, মিশিগানসহ ৪টি রাজ্যের ভোট গণনা বন্ধ রাখার।
এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১২তম সংশোধনী। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে নির্বাচনী ফল অমীমাংসিত থাকলে কিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।জটিল এই আইনি বিষয়টি আরো স্পষ্ট করতে কথা হয় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদ আল বাশারের সঙ্গে। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে রয়েছে কনটিনজেন্ট ইলেকশন।বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ল র এই গ্র্যাজুয়েটের নাম, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। তিনি জানান, ডেমোক্র্যাট মেজরিটির কারণে ১২তম সংশোধনী থেকে কোন সুবিধাই পাবেন না ট্রাম্প।
তবে বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট থাকায় সুপ্রিমকোর্টই হবে ট্রাম্পের শেষ ভরসা। সেক্ষেত্রে আল গোরে দু:সহ স্মৃতি পুনরাবৃত্তির শঙ্কা রয়েছে বলেও মত দেন তারা।যে দেশটি বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মতাদর্শ প্রচার করে, সে দেশটির জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানান আইনজীবীরা।