ভোলায় শিমের বাম্পার ফলন
- আপডেট সময় : ০১:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে
ভোলায় এবার আগাম জাতের শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ভাল লাভের আশা করছেন চাষীরা। প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আগাম শিম জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তারি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে কৃষক কোনো প্রণোদনা পাচ্ছে না। অবশ্য কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পরামর্শ, প্রশিক্ষণসহ শিমচাষীদের সব রকম সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। তার মাঝে হালকা বেগুনি রঙের শিমের ফুল দোলা দেয় কৃষকের মনে। তাইতো জমিতে শিম তুলতে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোলার কৃষক-কৃষানী। কৃষি বিভাগ জানায়, এবার ভোলায় ১ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। যার বাজার মুল্য ১৪০ কোটি টাকা।
জেলার ৭ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় আগাম শিম চাষ করেছে চাষীরা। খাতা শিম, লাল ফুল ও নলডুগি নামের বিভিন্ন জাতের শিম চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী, দক্ষিন জয়নগর, বোরহান উদ্দিনের দেউলা, দৌলতখান মাঝের চর, লালমোহনের দেবিরচর, তজুমদ্দিনের চর জহির উদ্দিন এবং চরফ্যাসনের মাদরাজ এলাকার অনেক কৃষক। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও শিম তুলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
পাইকারি প্রতি কেজি শিম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভাল পাওয়ায় খুশী চাষীরা। তবে সরকারী কোনো প্রনোদনা পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।
চাষির কাছ থেকে শিম চলে যায় আড়ৎদারের কাছে । সেখান থেকে কমিশন ভিতিত্তে বিক্রি হয়ে খুচরা-পাইকারের কাছে।
গত বারের তুলনায় এবার শিমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। উৎপাদিত শিম ভোলার চাহিদা মিটিয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
পরামর্শ, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে শিমচাষীদের পাশে রয়েছে কৃষি বিভাগ বলেও জানান কৃষিবিদ হাসান ওয়ারিসুল কবীর