ভৌগোলিক পণ্যের স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের চেতনার অভাব রয়েছে : সিপিডি
- আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৫২ বার পড়া হয়েছে
ভৌগোলিক পণ্যের স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের চেতনার অভাব রয়েছে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, সিপিডি। টাঙ্গাইল শাড়ির মেধাসত্বের প্রশ্নে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকলেও দেশের স্বার্থে নৈতিকভাবে দুর্বলতা দেখাবার সুযোগ নেই। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি’র পক্ষে এই মূল্যায়ন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সরকার দ্রুত উদ্যোগী না হলে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী মসলিনের মেধাসত্ত্ব হারাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সিপিডি।
৪ বছরে পূর্বে টাঙ্গাইলের শাড়ির মেধাসত্বের দাবি করে ভারত। কিন্তু তখন টনক নড়েনি সরকারের।
৪ জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ীকে ভৌগলিক পন্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকার। জিআই পন্যের প্রধান শর্ত-পন্যটির উৎপত্তি স্থল ভারত নয়, টাঙ্গইল।
বিষয়টি জানাজানি হলে নড়ে চড়ে বসে সরকার। তাড়াহুড়ো করে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
এমন পরিস্থিতিতে টাঙ্গাইল শাড়ির মেধাসত্ত্ব ইস্যুতে করণীয় জানাতে সিপিডির সংবাদ সম্মেলন।
টাঙ্গাইল শাড়ির স্বীকৃতি পেতে ভারতের ছল-চাতুরি এবং বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য।
দ্রুত সময়োপযোগী পদক্ষেপ না নিলে টাঙ্গাইল শাড়ির মতো ঐতিহ্যবাসী মসলিন শাড়ির অধিকারও হারাবে বাংলাদেশ।
সীদ্ধান্তে তড়িঘড়ি ও আইনি লড়াইয়ে অদক্ষতার কারণে বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে শঙ্কা জানান সিপিডিরআরেক সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।