মাগুরায় কাজ শেষে মজুরি না পাওয়ায় শ্রমিকদের ক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০২:১৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে
মাগুরার সব ইউনিয়নে মাটির রাস্তা সংস্কারে প্রায় ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রণালয়। প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৬ দিনের কাজ শেষ হয়েছে জুনে। নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে নগদের মাধ্যমে দেয়ার কথা থাকলেও ১০০ শ্রমিক মজুরি না পাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। ন্যায্য পাওনার আশায় চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ উপজেলা প্রকল্প অফিসে ঘোরাঘুরি করেও কোন লাভ হয়নি ভূক্তভোগি শ্রমিকদের।
মাগুরা জেলার সকল ইউনিয়নে মাটির রাস্তা সংস্কারে প্রতিটি ইউনিয়নের অধিনে ৬ টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউপি সদসকে প্রধান করে কাজ পরিচালনা করে কমিটি। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের অধিনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৬৯ জন শ্রমিক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ করেছে।
মন্ত্রনালয়ে পাঠানো শ্রমিকদের বিলশিট, প্রতিদিনের কাজের হাজিরা খাতা এবং উপজেলার তালিকা ঠিক থাকলেও প্রকৃত মোবাইল নম্বর বাদ দেয়ায় এমন বিপত্তি। শ্রমিকদের অভিযোগ, কাজের আগে ও পরে চেয়ারম্যানকে ১০০০ টাকা করে দিয়েছেন যাতে সময়মতো বিল হাতে পাওয়া যায়।
পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জোকা গ্রামের নিহারন বেগম। ৪০ দিন কাজ শেষে টাকা না পেয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘোরাঘুরি করেও কোন ফল পাননি। টাকা পাবেন এমন আশায় পরের ৩৬ দিনের কাজ শেষ করেন। কিন্তু এবারও আশায় গুড়ে বালি
একই গ্রামের মাফুজার বিশ্বাস। ১২ বছর ধরে কর্মসূচীর কাজ করেন। তিনিও এ অর্থবছরে কোন টাকা পাননি। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় অবস্থা দিশেহারা।
জোকা গ্রামের ফাতেমা খাতুন, বলরামপুর গ্রামের পান্নু মোল্যা, পলাশবাড়িয়া গ্রামে মাসুদ হেসেন, জোকা গ্রামের সাখাওয়াত বিশ্বাস জোকা গ্রামের বাবু মোল্য মত অনেকে এ কর্মসূচীর কাজ করেও টাকা পাননি।
এসব প্রকল্পের শ্রমিক নেতারা জানান, চূড়ান্ত বিল তৈরির সময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ইচ্ছামত মোবাইল নাম্বার বসিয়ে টাকা আত্মসাত করে নেন।
এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে জানালেন পূর্ণবাসন কর্মকর্তা। গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একজন শ্রমিক দিনে প্রথম ৪০ দিনে ১৬ হাজার টাকা এবং পরবর্তী ৩৬ দিনে ১৪৪০০ টাকা পাবে। জেলায় ৪টি উপজেলায় ৩৬টি ইউনিয়ন রয়েছে।