০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে ৫৭ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে ৫৭ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী বা কেজিডিসিএল। পদন্নতি পাওয়াদের মধ্যে পেট্রোবাংলার প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেসহ ২০১১ সালে জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া ৩২ জন কর্মকর্তার নাম রয়েছে। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার আগেই পদন্নতির খবরে বিষ্মিত দুদকের আইনজীবীরা। চাঞ্চল্যকর এই পদন্নতির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে টিআইবি। যদিও কেজিডিসিএল বলছে অভিযুক্তরা দুদকের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই নিয়মানুযায়ী পদন্নতি পেয়েছেন।

নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, কারো সার্টিফিকেট নেই, কেউ নিয়োগ পরীক্ষায় পাসই করেনি। অথচ ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন পেট্রোবাংলার অধিনস্ত কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গায়েব করে ফেলা হয়েছে ২০১১ সালে নিয়োগ পাওয়া এমন ৩২ জন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফাইল। ২০১৮ সালে নজিরবিহিন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

এবার ওই ৩২ জনসহ মোট ৫৭ কর্মকর্তাকে নিয়মবহির্ভুতভাবে পদন্নতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গেল ২০ আগস্ট মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে বিতর্কিত এই পদন্নতি দেয় কেজিডিসিএলের পরিচালনা পর্ষদ।চাকরিবিধি অনুযায়ী কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদন্নতি দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

পদন্নতির জন্য মনোনীত অধিকাংশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অবজার্ভেশন থাকায় তাদের ব্যাপারে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার নির্দেশ দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু কোন নির্দেশনা না মেনে একটি ভুয়া ক্লিয়ারেন্স পেপার সংযুক্ত করেই বিতর্কিত এই পদন্নতি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে কেজিডিসিএল। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ রয়েছে কর্ণফূলীর সাবেক এমডি ও বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেকে পদন্নতি দিতেই নিয়ম বহির্ভুত নজিরবিহীন এই পদন্নতির আয়োজন করেছে কেজিডিসিএল ও পেট্রোবাংলা। দ্রুত এই পদন্নতির প্রক্রিয়া বাতিল করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।

চাঞ্চল্যকর এই পদন্নতির প্রস্তুতি চলাকালে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে গভির রাতে বোর্ড বসিয়ে সম্পন্ন করা হয় পদন্নতির প্রক্রিয়া।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে ৫৭ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে ৫৭ জন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়েছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী বা কেজিডিসিএল। পদন্নতি পাওয়াদের মধ্যে পেট্রোবাংলার প্রশাসন বিভাগের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেসহ ২০১১ সালে জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া ৩২ জন কর্মকর্তার নাম রয়েছে। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার আগেই পদন্নতির খবরে বিষ্মিত দুদকের আইনজীবীরা। চাঞ্চল্যকর এই পদন্নতির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে টিআইবি। যদিও কেজিডিসিএল বলছে অভিযুক্তরা দুদকের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই নিয়মানুযায়ী পদন্নতি পেয়েছেন।

নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, কারো সার্টিফিকেট নেই, কেউ নিয়োগ পরীক্ষায় পাসই করেনি। অথচ ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন পেট্রোবাংলার অধিনস্ত কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গায়েব করে ফেলা হয়েছে ২০১১ সালে নিয়োগ পাওয়া এমন ৩২ জন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ফাইল। ২০১৮ সালে নজিরবিহিন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

এবার ওই ৩২ জনসহ মোট ৫৭ কর্মকর্তাকে নিয়মবহির্ভুতভাবে পদন্নতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গেল ২০ আগস্ট মধ্যরাতে বোর্ড বসিয়ে বিতর্কিত এই পদন্নতি দেয় কেজিডিসিএলের পরিচালনা পর্ষদ।চাকরিবিধি অনুযায়ী কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদন্নতি দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

পদন্নতির জন্য মনোনীত অধিকাংশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অবজার্ভেশন থাকায় তাদের ব্যাপারে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার নির্দেশ দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু কোন নির্দেশনা না মেনে একটি ভুয়া ক্লিয়ারেন্স পেপার সংযুক্ত করেই বিতর্কিত এই পদন্নতি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে কেজিডিসিএল। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অভিযোগ রয়েছে কর্ণফূলীর সাবেক এমডি ও বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর দুই ছেলেকে পদন্নতি দিতেই নিয়ম বহির্ভুত নজিরবিহীন এই পদন্নতির আয়োজন করেছে কেজিডিসিএল ও পেট্রোবাংলা। দ্রুত এই পদন্নতির প্রক্রিয়া বাতিল করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।

চাঞ্চল্যকর এই পদন্নতির প্রস্তুতি চলাকালে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে গভির রাতে বোর্ড বসিয়ে সম্পন্ন করা হয় পদন্নতির প্রক্রিয়া।