মহালছড়িতে এক পরিবারের ৬ জনের মধ্যে পরিবারের কর্তাসহ ৫ জনই শারিরীক প্রতিবন্ধী
- আপডেট সময় : ০২:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক পরিবারের ৬ জনের মধ্যে পরিবারের কর্তাসহ ৫ জনই শারিরীক প্রতিবন্ধী। এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম এলাকার চৌংড়াছড়ি রোয়াজাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারটি খুবই অসহায় অবস্থায় অভাব অনটনের মধ্যে জীবন যাপন করে যাচ্ছে।
মহালছড়ি চৌংড়াছড়ির রোয়াজাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিংপ্রু চাই মারমা ও আরেমা মারমার দম্পতির কোল জুড়ে জন্ম নেয় ১ কন্যাসহ ৫ সন্তান। অভাবের সংসার হলেও ৫ সন্তানকে নিয়ে সুখেই ছিলেন এই দম্পতি। সন্তানরা বেড়ে উঠছিলো স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু ৮ থেকে ১০ বছরের বয়সে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলেরা। প্রথম ছেলে উচিমং মারমার ৮ বছর বয়সে হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর ভালো হয়ে ওঠে।পরে হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগে আস্তে আস্তে তা হাত পা শুকিয়ে যায়। পরে তার বাবা কয়েক দফা চিকিৎসা করালেও আর ভালো হয়ে ওঠেনি সে। এভাবে এক এক করে আরো ৩ সন্তানের একি অবস্থা হয়। স্থানীয়রা জানান নিংপ্রুচাই মারমার পরিবার যদি সরকারের কোন সহযোগীতা না পায় তাহলে পরিবারটি নিঃশেষ হয়ে যাবে।
নিংপ্রুচাইয়ের ৪ ছেলেই স্কুলে পড়তো। পর্যায়ক্রমে তারা পঙ্গু হয়ে স্কুলে আসতে পারে নাই। নিরুপায় হয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের সরকারী ভাবে সহযোগীতা করা হলে পরিবারটি বেঁচে যাবে।
তারা যখন তাদের কাছে প্রথম আছে। তারা চিকিৎসা করিয়েছেন। নিয়মিত আসতে না পারার কারণে তাদের অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তাদের রোগটা বিরল, তিনি আশা করেন সিভিল সার্জনসহ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা করা হলে হয়তো তারা এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
শিশু ও মেডিসিন বিশেজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোড গঠন করে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা জানান এই কর্মকর্তা। সরকারী ভাবে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও আর্থিক সহযোগীতা দিয়ে পরিবারটিকে রক্ষা করা হোক এমনটাই দাবী স্থানীয় এলাকাবাসীর।