মানুষ যখন বানের জলে বিপদাপন্ন তখন গরু-ছাগল লুটে নিচ্ছে ডাকাতরা
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৬০ বার পড়া হয়েছে
প্রতি বছর বর্ষায় উজানের সামান্য ঢল বড় অভিশাপ হয়ে হাজির হয় ভাটির জনপদে। চর-দ্বীপচরের মানুষ যখন বানের জলে হাবুডুবু করে তখন বিপদাপন্ন মানুষের গরু-ছাগল লুটে নেয় ডাকাতরা। এবারো তিস্তা-যমুনা আর ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার সাথে সাথে বেচেঁ থাকার একমাত্র অবলম্বন গবাদী পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলবাসী। আসন্ন কোরবানী ঈদকে ঘিরে ডাকাতি ও চুরি ঠেকাতে সম্প্রতি একটি চরে পুলিশের উদ্যোগে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও চলছে টহল।
সারা বছর সন্তানের মতো আগলে রাখা গবাদিপশু রক্ষা করতে গিয়ে এর আগে ডাকাতের হাতে জীবনও দিতে হয়েছে চরের খেটে খাওয়া মানুষদের। এবার গবাদীপশু নিয়ে দেখা দিয়েছে নানামূখী সঙ্কট। একেতো করোনা মহামারী, তার উপর বন্যা। কোরবানী ঈদ সামনে রেখে তাইতো রাত জেছে পাহারা দিচ্ছেন অনেকে। দুরচিন্তায় শেষ নেই চরবাসীর।
সাধারণ মানুষের পাশপাশি ডাকাত ঠেকাতে রাতের বেলা পুলিশি টহলও জোরদার করা হয়েছে। এদিকে চরবাসীর নিরাপত্তায় সুন্দরগঞ্জের কাজিয়ার চরে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে রাতের বেলা মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন স্থানীয়রা ,জানালেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে বন্যার সুযোগে মানুষকে সর্বশান্ত করার কোন সুযোগ নেই বলছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার।
গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অন্তত দু’শ চর-দ্বীপচর রয়েছে। ২০১৭ সালে কাপাসিয়া ডাকাতদের গুলিতে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয় নিয়ে যাওয়া হয় ২৫টি গরু।