মেঘনা গ্রুপের নতুন সিইও সৈয়দ আলমগীর
- আপডেট সময় : ১২:৪২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
- / ১৮০৬ বার পড়া হয়েছে
দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে (এমজিআই) এফএমসিজি বিভাগের সিইও হিসেবে যোগদান করেছেন মার্কেটিং সুপারস্টার সৈয়দ আলমগীর। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সৈয়দ আলমগীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিপণন ক্ষেত্রে তার অবদান এবং সাফল্যের জন্য একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। এই অঞ্চলে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার বিপণনের সাফল্যের গল্প মার্কেটিংয়ের জনক ড. ফিলিপ কোটলারের প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং বইটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পাঠ্যবই বিশ্বব্যাপী শ্রেণিকক্ষে মার্কেটিং শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২০১৯ সালে চ্যানেল আই এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আলমগীরকে মার্কেটিং সুপার স্টার খেতাব প্রদান করে, যা বাংলাদেশের মার্কেটিং সেক্টরে সর্বোচ্চ সম্মাননা। এছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের আরো অনেক পুরস্কার লাভ করেন। আলমগীর ইউনিসেফের প্রাইভেট সেক্টর অ্যাডভাইজরি বোর্ডের একজন বিশিষ্ট সদস্য। তিনি অনেক পেশাজীবী সংস্থার সভাপতিও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ক্যাসেল, ইউএসএ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
সৈয়দ আলমগীর আইবিএতে পড়াশোনার পর যুক্তরাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি মে অ্যান্ড বেকার লিমিটেডের সঙ্গে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৯২ সালে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন এবং এসিআই লিমিটেডে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। পরে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উন্নীত হন।
এছাড়াও তিনি এসিআই কনজিউমার ব্র্যান্ডস, এসিআই সল্ট লিমিটেড, এসিআই পিওর ফ্লাওয়ার লিমিটেড এবং এসিআই ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি এসিআই-এর ফরেন জয়েন্ট ভেঞ্চারসহ আরো কয়েকটি কোম্পানির বোর্ড সদস্য। সর্বশেষ তিনি আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আলমগীর বেশ কয়েক বছর ধরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পার্টটাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন। সফল এবং কিংবদন্তি বিপণন ব্যক্তিত্ব এখন থেকে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে কাজ করবেন। এমজিআই পরিবার বিশ্বাস করে তার যোগদান প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে ও ব্যবসায়িক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।