মৌলভীবাজার হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট চালু
- আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৭২ বার পড়া হয়েছে
করোনায় আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার মৌলভীবাজার হাসপাতালে ১৮ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে। আর শ্রীমঙ্গলে বিজিবি প্রাইমারী স্কুলেও আরেকটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে, বিদেশ ফেরত তিন হাজার প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে গাঁঢাকা দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সেনাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসব প্রবাসীর সন্ধান পেলেই জেল জরিমানাসহ পাসপোট জব্দ করা হবে।
প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমিত রোগিদের চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে আলাদা দুটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। ২৫০ শয্যার মৌলভীবাজার হাসপাতালের ১৮টি বেডের আইসোলেশন ইউনিট পহেলা এপ্রিল উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীমঙ্গল বিজিবি প্রাইমারী স্কুলে আরেকটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানালেন সহকারি কমিশনার ভূমি।
ইমিগ্রেশনের রেকর্ড বলছে, মার্চ মাসে মৌলভীবাজারে প্রবাসী এসেছেন তিন হাজার ৫০০ জন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ৫৩৯ জন। বাকী তিন হাজারের হদিস নেই। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মৌলভীবাজারে হোম কোয়ারেন্টিনে যান ৫৩৯ জন প্রবাসী। সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৪৮৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সন্দেহভাজন দু’জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হলে একজনের রিপোর্ট নিগেটিভ আসে। অপরজনের রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে জানান সিভিল সার্জন।
সভা সমাবেশ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জনসমাগম, পর্যটন স্পর্টে যাতায়াতসহ সব কিছুতেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। দেশে আসা প্রবাসীরা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন না হোম কোয়ারেন্টিনে। অনেক প্রবাসী গাঁঢাকা দিয়েছেন। তাদেরকে প্যানেল কোর্টের ধারা অনুযায়ী জেল জরিমানা করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
করোনা সচেতনতায় দেশে আসা লাপাত্তা প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টিন যাওয়াসহ জেলার অন্য নাগরিকরা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন এমনটাই আশা সবার।