যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, শ্রেনীকক্ষ আর রাস্তাঘাট পানির নীচে থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে, গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার ১শ’ ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে যাওযায় পাঠদানে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এটি সদর উপজেলার অয়নাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। স্কুলের মাঠে এখনো কোমর পানি। স্কুলের রাস্তাটি হাটু পানির নীচে। আর শ্রেনীকক্ষের ব্রেঞ্চগুলোও পানির নীচে। জেলার চরাঞ্চল ও নীচু এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র প্রায় একই রকম। বর্তমান এ পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুলে পাঠানো খুবই ঝুঁকিপুর্ন ও নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন অভিবাবকরা।
জেলার ৩শ’ ৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে এখনো পানি রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্লাসে না ফেরার শংশয় রয়েছে শিক্ষকদের মাঝে।
গাজীপুরে চারিদিকে থৈ থৈ করছে পানি। স্কুলের মাঠ তলিয়ে আছে পানিতে। কোথাও কোথাও শ্রেণী কক্ষেই ঢুকে পড়েছে পানি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকল্প উপায়ে পাঠদানের কথা বললেও বর্ষা শেষে উপযুক্ত পরিবেশ হলেই স্কুল খোলার কথা বলছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
সকল অনিশ্চয়তা দুর করে করোনা বাস্তবতায় শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দ্রুত ক্লাশে ফিরতে পারবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এমন প্রত্যাশা সকলের।