যশোরে পলিহাউজে চলছে চুঁই-ঝালের চারা উৎপাদনের বিশাল কর্মযজ্ঞ
- আপডেট সময় : ১২:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৮৪৩ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণের জেলাগুলোতে খুলনা বিভাগের বিখ্যাত ঝাড়চুঁই গাছের চারার চাহিদার বড় একটা অংশ যোগান দিচ্ছে যশোরের মণিরামপুরের জামজামি গ্রামের একটি নার্সারী। প্রতি মাসে এই নার্সারীর উৎপাদিত এক লাখেরও বেশি বেশি চুঁইয়ের চারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। চুঁইগাছের সায়ান থেকে বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরী করা এই চুঁইয়ের চারার মান ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই এই নার্সারীতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঝাড়চুঁইয়ের চারা সংগ্রহে ছুঁটে আসছে কৃষি উদ্যোক্তারা।
যশোরের মণিরামপুরে জামজামি গ্রামের এই পলিহাউজে চলছে চুঁই-ঝালের চারা উৎপাদনের বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্রামের দুই ভাই- ইফতেখার সেলিম অগ্নি ও সুলতানুজ্জামান টিটু গড়ে তুলেছেন দীপ্ত চুঁইঝাল স্টেট নামে ঝাড়চুঁইয়ের আধুনিক নার্সারী। বান্দরবনের নাইক্ষ্যাংছড়িতে নিজস্ব বাগানের চুঁইঝাল গাছের সায়ান এনে বিশেষ প্রযুক্তিতে কলম করে তৈরী হচ্ছে চুঁইয়ের চারা। পরে তা অল্প দামেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।
উন্নত মানের চুঁইঝালের চারা উৎপাদনে নার্সারীতে কাজ করছে প্রশিক্ষিত একদল দক্ষ শ্রমিক।
উৎপাদিত চুঁইয়ের ভালো মানের কারণে চাহিদা বাড়ায় মাসে এক লাখেরও বেশি চারা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতিদিনই চারা কিনতে আসছেন প্রচুর উদ্যোক্তা।
যশোরসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে চুঁইঝালের চাষ সম্প্রসারণে এই নার্সারী অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
মসলা জাতীয় ফসল- ‘চুঁইঝাল’ কৃষকের কাছে অধিক লাভবান হওয়ায় দক্ষিণের কৃষি অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।