রাজধানীর সুপার শপগুলোতেও সয়লাব নকল প্রসাধনীতে
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
- / ১৮৮০ বার পড়া হয়েছে
শুধু সাধারণ দোকানেই নয়, রাজধানীর সুপার শপগুলোতেও সয়লাব নকল প্রসাধনীতে। নামী-দামী ব্র্যান্ডের মোড়ক দেখে পণ্য কিনে প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। কামরাঙ্গীরচরে এমন একটি নকল প্রসাধনী উৎপাদনের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাগ গোয়েন্দা পুলিশ। মহানগর ডিবি জানায়, গার্মেন্টেসের রং ও আটা-ময়দাসহ ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়ে তৈরী এসব প্রসাধনী ব্যবহারে চর্ম রোগসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও।
সৌন্দর্য চর্চায় প্রসাধনী—- নারীর অন্যতম এক অনুষঙ্গ। আর উৎসব-পার্বণে এর চাহিদা বিপুল। ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে এরর জুড়ি মেলা ভার।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, নকল-ভেজাল প্রসাধনী তৈরী করে ছোটবড় বিভিন্ন মার্কেটে বাজারজাতের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র।
এই চক্রের খোঁজে অনুসন্ধান চালায় ঢাকা মহানগরের লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ। সন্ধান মেলে কামরাঙ্গীরচরের ইব্রাহীমনগরে হাজী সারওয়ার আলমের মালিকানাধীন ১৩নং বাড়ীতে সবুর ইসলাম সবুজ ও আবুল কামালের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা নামীদামী ব্র্যাণ্ডের নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানা।
ইউরোপ, আমেরিকা, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের নামীদামী ব্র্যাণ্ডের প্রসাধনীকে নকল করে তৈরির কারখানায় রেখেছেন ভুয়া কেমিষ্টও।
নকল মোড়কে শুধু ঢাকার চকবাজারই নয়, এসব ভেজাল পণ্য চলে যাচ্ছে জাকজমকপূর্ণ সুপার শপগুলোতেও। নামী-দামী এসব নকল পণ্য সরবরাহের দামও জানান শ্রমিকরা।
ভেজাল খ্যাত এলাকা কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে বাড়ী ও কারখানার মালিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাগ গোয়েন্দা পুলিশ।
নকল পণ্যকে আসলে পরিণত করতে প্রসাধনী প্রেমীদের চোখ ফাঁকি দিতে অনলাইনে বারকোড সিষ্টেমও করে রেখেছে তারা।
এসব ভেজাল ও নকল প্রসাধনী ব্যবহারে চর্ম রোগের পাশাপাশি ক্যান্সারও হতে পারে বলে মনে করেন মহানগর গোয়েন্দা প্রধান।
যত্রতত্র কারখানা গড়ে উঠলে বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।