রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনে হ্রাস পাচ্ছে পোশাক রপ্তানী
- আপডেট সময় : ০২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে রপ্তানী। আর সবচেয়ে বড় ভুক্তোভোগী তৈরী পোশাক শিল্প। দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর রপ্তানীমুখী দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনে সহসা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা দেখছেন না এ খাতের উদ্যোক্তারা। সংকটে টিকে থাকতে সরকারের নীতিগত সহায়তার পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দামে ভর্তুকি চায় বিজিএমইএ।
করোনার পর ঘুরে দাঁড়ালেও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে, গেলো বছরের শেষের দিকে ফের মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের রপ্তানী। চলতি বছর প্রতি মাসেই আগের বছরের চেয়ে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ রপ্তানী কমেছে তৈরী পোষাক খাতে। টানা ৮ মাসের নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রপ্তানীমুখী দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েনে শঙ্কিত তারা। তৈরি পোষাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, অর্ডার কমার পাশাপাশি নানা খাতে ব্যয় বেড়েছে। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে এইচএসকোড নিয়ে কাস্টমসের কড়াকড়ি।
বিজিএমইএ বলছে, অনেক চড়াই উৎরাই পার করে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছে তৈরী পোষাক শিল্প। ফুটেজ-১ বর্তমান সংকটও কেটে যাবে সহসা। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতিগত সহায়তা। রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেবে, এককভাবে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানী পণ্য যায় যুক্তরাষ্ট্রে; যা পরিমাণ ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারে ১২, কানাডায় ১৮ শতাংশ ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানী হচ্ছে ৪৮ শতাংশ তৈরী পোষাক। বাকি তিন শতাংশ যাচ্ছে অন্য বাজারগুলোতে।