রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৯ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০২:১৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহতা বয়ে বেড়াচ্ছেন আহত ও নিহতদের স্বজনরা। তেমনি এক নাম এজাজ উদ্দিন আহমেদ কায়কোবাদ। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে নিজেও অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত হয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। হারিয়ে যাওয়া মানুষটিকে সর্বক্ষণ খুঁজে ফিরছেন তার স্ত্রী। আর সন্তানরা বাবার গল্প শুনে কঠিন বাস্তবতায় বড় হয়ে উঠছে।
রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদ্ধার কাজ করা এক স্বেচ্ছাসেবকের নাম এজাজ উদ্দিন আহমেদ কায়কোবাদ।
অন্যের জীবন বাঁচাতে ধসে পড়া ভবনের ৭২ ফুট নীচে নেমে উদ্ধার কাজে অংশ নেন এজাজ। কিন্তু সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। রাষ্ট্রীয় অর্থে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। ৪ মে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন… জীবন বাঁচাতে এসে জীবন উৎসর্গকারী মানবিক এই মানুষটি। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে।
এজাজের দুই সন্তান মারিয়া ও তিহাদ। অবসরে ছোট ভাইকে শোনায় বাবার সেই সাহসিকতার গল্প। পিতার মুখচ্ছবিতে জমে থাকা ধুলো মুছে যায় হৃদয়ের স্পর্শে। শূন্যতা পুরণে মা হয়তো চেষ্টা করেন, কিন্তু বাবার জায়গাটা হয়তো খালিই থেকে যায়।
গেলো ৯ বছর যার গল্প জুড়ে শুধুই বিষন্নতা, তিনি এজাজের স্ত্রী আয়শা জাহান জেরিন। প্রতিদিনই ছবির আড়ালে হারিয়ে যাওয়া মানুষটিকে খুঁজে ফিরে হৃদয়ের লুকোনো আবেগ।
বিলম্বিত বিচার নিয়ে ক্ষোভ ও প্রত্যাশাও ছিল তাদের কণ্ঠে।
মাটিতে মিশে গেলেও এজাজের মত কীর্তিমানরা টিকে থাকেন মানুষের দোয়া ও মোনাজাতে, সে অনন্তকাল ধরে।