রামু ট্র্যাজেডি’র ১০ বছরেও শুরু হয়নি বিচার কাজ
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৮৩ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের বহুল আলোচিত রামু ট্রাজেডি’র ১০ বছর আজ। এইদিন দেশের সবচেয়ে বড় সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মন্দির, মূর্তি আর বসতবাড়ি হারায় রামু, উখিয়া এবং টেকনাফের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় রম্যভূমিতে ফিরেছে সম্প্রীতি। তবে, সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে অনীহায় থমকে আছে বিচার কাজ। জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতি অটুট থাকুক এমনটাই দাবি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। উত্তম বড়ুয়া নামে এক যুবকের আইডি থেকে পোস্ট করা ফেসবুকের ছবিকে কেন্দ্র করে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলা হয়। সে রাতে সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে প্রাচীন ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলে।
১০ বছরের ব্যবধানে বিধ্বস্ত রামু পেয়েছে নতুন রূপ। বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান সবাইকে ঘিরো এ এলাকায় আবার ফিরেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
আগুনে পুড়ে যাওয়া মন্দির আর মূর্তির স্থানে এখন আন্তর্জাতিকমানের শৈল্পিক নির্মাণ শৈলীর দেখা মিলছে। ফলে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারসহ বিভিন্ন মন্দিরে পুর্ণ্যার্থী ছাড়াও ভ্রমণে আসেন দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটক। স্থানীয়দের দাবী-তাদের বন্ধন এখন আরো বেশি সুদৃঢ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ।
তবে বিচারের অগ্রগতি নেই। সাক্ষিদের অসহযোগিতার কথা জানালেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর।
রামু, উখিয়া-টেকনাফের ১৮ মামলায় ৯৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এ মামলাগুলোতে আসামির সংখ্যা ১৫ হাজার।