০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে ধস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬৭১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে ধস নেমেছে। ৬ মাস আগেও যেখানে প্রতি মাসে অন্তত ১২’শ গাড়ি বিক্রি হতো, এখন তা নেমে এসেছে ২’শ ও নিচে। আমদানীকারকরা বলছেন, ডলার সংকটে শতভাগ মার্জিন দিয়েও এলসি খুলতে না পারায়, চাহিদার বিপরীতে গাড়ি আনা যাচ্ছে না। আর বারবিডা বলছে, এভাবে আর ৬ মাস চললে, গাড়ির অর্ধেক শোরুম বন্ধ হয়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকটের সুযোগে কর্পোরেট হাউজগুলো বাজারে এলে আরো অস্থিরতা তৈরী হবে।

করোনার আগের মাসে অন্তত এক হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি নামতো রাস্তায়। ২০২০ ও ২১ সালে কিছুটা থমকে গেলেও, ২২ সালে এসে ফের ঘুরে দাঁড়ায় এই ব্যবসা। ওই বছর মাসে অন্তত ১২ শো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে বিআরটিএ। প্রবৃদ্ধির হিসেবে যা ২০ শতাংশের কাছাকাছি।

কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকেই আবারো স্থবিরতা নেমেছে রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে। কারণ ডলার সংকটে এলসি করতে না পারা। আর তাই চাহিদা থাকা সত্তেও গাড়ি আনতে পারছেন না আমদানীকারকরা। বাজারে সংকট তৈরী হওয়ায় ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতিটি গাড়িতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।

গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডা বলছে, এলসি জটিলতার পাশাপাশি টাকার ভয়াবহ অবমুল্যায়নে খরচ বেড়েছে প্রতিটি ধাপে। তাই ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে নীতিগত সহায়তার হাত বাড়াতে হবে সরকারকে।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির বাজার বড় হয়েছে। তাই এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে রিকন্ডিশন গাড়ি এসেছে ১ হাজার ৫৭৪টি। যার বড় অংশ এখনো খালাশ হয়নি। অথচ অন্য বছর এই সময়ে অন্তত ৪ হাজার গাড়ি রাস্তায় নামে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে ধস

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে ধস নেমেছে। ৬ মাস আগেও যেখানে প্রতি মাসে অন্তত ১২’শ গাড়ি বিক্রি হতো, এখন তা নেমে এসেছে ২’শ ও নিচে। আমদানীকারকরা বলছেন, ডলার সংকটে শতভাগ মার্জিন দিয়েও এলসি খুলতে না পারায়, চাহিদার বিপরীতে গাড়ি আনা যাচ্ছে না। আর বারবিডা বলছে, এভাবে আর ৬ মাস চললে, গাড়ির অর্ধেক শোরুম বন্ধ হয়ে যাবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংকটের সুযোগে কর্পোরেট হাউজগুলো বাজারে এলে আরো অস্থিরতা তৈরী হবে।

করোনার আগের মাসে অন্তত এক হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি নামতো রাস্তায়। ২০২০ ও ২১ সালে কিছুটা থমকে গেলেও, ২২ সালে এসে ফের ঘুরে দাঁড়ায় এই ব্যবসা। ওই বছর মাসে অন্তত ১২ শো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে বিআরটিএ। প্রবৃদ্ধির হিসেবে যা ২০ শতাংশের কাছাকাছি।

কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকেই আবারো স্থবিরতা নেমেছে রিকন্ডিশন গাড়ির বাজারে। কারণ ডলার সংকটে এলসি করতে না পারা। আর তাই চাহিদা থাকা সত্তেও গাড়ি আনতে পারছেন না আমদানীকারকরা। বাজারে সংকট তৈরী হওয়ায় ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতিটি গাড়িতে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ।

গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডা বলছে, এলসি জটিলতার পাশাপাশি টাকার ভয়াবহ অবমুল্যায়নে খরচ বেড়েছে প্রতিটি ধাপে। তাই ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে নীতিগত সহায়তার হাত বাড়াতে হবে সরকারকে।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির বাজার বড় হয়েছে। তাই এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে রিকন্ডিশন গাড়ি এসেছে ১ হাজার ৫৭৪টি। যার বড় অংশ এখনো খালাশ হয়নি। অথচ অন্য বছর এই সময়ে অন্তত ৪ হাজার গাড়ি রাস্তায় নামে।