রেলমন্ত্রীর পদ পেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নুরুল ইসলাম সুজনের
- আপডেট সময় : ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়-২ আসনে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এতেই যে আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান মন্ত্রী ও তার আত্নীয়-স্বজনরা। কয়েককগুণ বেড়ে যায় জমিসহ নগদ টাকা। রেলের ঠিকাদারিসহ মানুষের ঘরবাড়ি দখলের অভিযোগও রয়েছে রেলমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
নূরুল ইসলাম সুজন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি টানা তিনবার সংসদ সদস্য ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রেলপথমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নূরুল ইসলাম।
সাবেক এই রেলমন্ত্রীর কৃষি জমি ৮ একর জমি বেড়ে ৩৫ একরে ঠেকেছে। এছাড়া কোটি টাকার বাড়িসহ ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে তার।
নুরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী হওয়ার সুযোগে তার ভাই ও ভাতিজাদের রেলের ঠিকাদারি কাজ দিয়ে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এছাড়া সাবেক এই মন্ত্রীর গ্রামে চড়া সুদের ব্যবসাও বাদ দেননি তার ভাতিজা। সুদের টাকা আদায়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে দখল করতো জমি।
এদিকে নুরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী হয়ে পঞ্চগড় স্টেডিয়াম ও রেলস্টেশন তার বড়ভাই সিরাজুল ইসলামের নামে করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছিল বরাবরই। তবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষমতার দাপটে বিরোধী দলসহ ভিন্নমতের অনেককেই পালাতে হয়েছে এলাকা থেকে আবার অনেকের নামে দেয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা।
বিগত সরকারের আমলে সাবেক এই রেলমন্ত্রীর সকল অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গেল ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।