শেষ কর্মদিবসে কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড়
- আপডেট সময় : ০১:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
- / ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে
শেষ কর্মদিবস হওয়ায় ঈদযাত্রায় সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল।
উত্তরাঞ্চলগামী সব ট্রেনই দেরিতে ছেড়ে যায়। নীল সাগর, ধুমকেতু, সুন্দরবন এক্সপ্রেস দুই থেকে তিন ঘন্টা দেরিতে ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। তবে, সময়মতো ছেড়েছে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও তিস্তা এক্সপ্রেস।
ঈদের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। তাই, রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন ভিড়। ট্রেনের কামরায় পা ফেলার জায়গা নেই। ভেতরে ঢোকার জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে যাত্রীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিশেষ ও সাধারন মেইল সার্ভিসগুলো ছাড়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়। যাত্রীদের হুরোহুরিতে নাজেহাল অবস্থা শিশু,বৃদ্ধ ও নারীদের।
সকাল ছ’টায় নির্ধারিত সময় থাকলেও, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় আড়াই ঘন্টা পর। ৬ টা ৪০ মিনিটের নীলসাগর এক্সপ্রেস সাড়ে ৯টায় এবং ৮টার খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সেপ্রেস ছাড়ে ৯টায়। এতে পছন্ড গরমে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
দেরিতে ছাড়লেও, ভয়াবহ সিডিউল বিপর্যয় হয়নি এখনো। এবারও ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন যাত্রীরা। তবে, তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে বলে জানায়, রেল কর্তৃপক্ষ। এ বছর ৩৭ জোড়া ট্রেনের সাথে দুটি ঈদ স্পেশাল যুক্ত করায় প্রতিদিন ৩৯ হাজার যাত্রী ঢাকা ছাড়ছেন বলে জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শেষ কর্মদিবসে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ছিলো উপচে পড়া ভিড়।
তবে, এবার ট্রেনের ছাদে ও বাদুর ঝোলা হয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখনো দেখা যায়নি। রেলওয়ের হিসেবে অগ্রিম ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে গতকাল সকাল থেকে। তবে, যাত্রীর চাপ এখনো সহনীয় আছে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে নির্ধারিত আন্ত:নগর ছাড়াও ঈদ স্পেশাল দুটি ট্রেন সিডিউল ধরেই ছেড়েছে প্লাটফর্ম। প্রতিটি ট্রেনই ধারণ ক্ষমতার সম্পুর্ণ যাত্রী নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। চাপ থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বহণের পরিবেশ এখনো তৈরী হয়নি বলে জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রী কম হলেও, ঈদকে সামনে রেখে সদরঘাটে চাপ বেড়েছে।
শনিবার পর্যন্ত কোন লঞ্চের কেবিন ফাঁকা নেই।তবে, ঈদে চাপ থাকলেও, পরে যাত্রী নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে বলে জানান লঞ্চ মালিকরা। সম্প্রতি লঞ্চে যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের চিত্র এটি। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবার ঘাটে যাত্রীর ভিরে তিল ধারণের ঠাঁই না থাকলেও, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
পদ্মা সেতু চালুর পর, লঞ্চ যাত্রায় ভাটা পড়েছে। তবে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নিয়মিত যাত্রীরা বাসে নয় লঞ্চেই ভ্রমণ উপভোগ করেন বলে জানান, তারা।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি যাত্রায় কয়েক লাখ টাকা লোকশান গুনতে হয়েছে।
ঈদের উপলক্ষে যাত্রী চাপ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন লঞ্চ মালিকরা।