রোগীর চাপে চট্টগ্রামের সরকারী বে-সরকারী কোন হাসপাতালেই এখন বেড খালী নেই
- আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপে চট্টগ্রামের সরকারী বে-সরকারী কোন হাসপাতালেই এখন বেড খালী নেই। এই বাস্তবতায় রোগীর অক্সিজেন লেভেল ৯৩ শতাংশের নেচে না নামা পর্যন্ত হাসপাতালে আসতে নিরুৎসাহিত করছেন চিকিৎসকরা। অথচ গবেষণা বলছে অন্তত ২৪ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে দেরিতে হাসপাতালে আসার কারণে। সাম্প্রতি ভারবাল অটোপসি অব ডেথস অ্যামাং কনফার্মড কোভিড নাইনটিন কেইসেস শিরোনামে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যু হয় গেল বছরের ১১ এপ্রিল। এক বছরের কিছু বেশী সময়ের ব্যবধানে সেই সংখ্যা এখন হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃতের এই তালিকা প্রতিদিন বাড়ছে।
এই বাস্তবতায় করোনায় মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধ্যানে গবেষণা চালিয়েছে একদল চিকিৎসক। যার নেতৃত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ। চট্টগ্রামের ৭৭, কুমিল্লার ৯৬ আর কক্সবাজারের ৪৯ জন রোগীর ওপর চালানো ওই গবেষনায় দেখা গেছে বাসায় চিকিৎসা নেয়ার কারণে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী অক্সিজেনের সংস্পর্শেই আসেনি। দেরিতে হাসপাতালে আসায় ২৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের কিছুই করার ছিলো না। মৃতদের মধ্যে ৮১ শতাংশের শরীরে জ্বর ছিলো আর শ্বাসকষ্টের জটিলতা ছিলো ৭৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে।
চট্টগ্রামে মৃতের মতোই ভয়াবহভাবে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারী বে-সরকারী মিলিয়ে দেড় হাজার শয্যার একটিও খালি নেই এখন। একটি আইসিইউ বেডের জন্য সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে অন্তত ৩৫ জন মুমুর্ষু রোগীকে। তাই হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে এখনো বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতির রূপরেখা নির্ধারণে এই ধরণের গবেষণা আরো প্রয়োজন। সেটাফ
গবেষণা চালানো ওই দু’শো ২২ জন রোগীর মধ্যে ১৪০ জনের বয়স ছিলো ৫০ বছরের বেশি। শতাংশের হিসেবে যা ৬৩ শতাংশ। এছাড়া ৪৯ শতাংশ রোগী ডায়বেটিস আর ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। ফুটেজ-১