লকডাউনে বেশি খরচে দুধ উৎপাদনের পরও, ন্যায্যদামে বিক্রি করতে পারছে না খামারীরা
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৯৫ বার পড়া হয়েছে
লকডাউনে বেশি খরচে দুধ উৎপাদনের পরও, ন্যায্যদামে বিক্রি করতে পারছে না সিরাজগঞ্জের খামারীরা। গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও সে অনুযায়ী দুধের দাম না দেয়ায়, গত কয়েক বছর ধরে লোকশান দিচ্ছে তারা। এখন সংরক্ষণের অভাবেও নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার লিটার দুধ। সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে খামারী ও জনপ্রতিনিধিরা।
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারাখানা স্থাপনের পর, এই অঞ্চলে হাজার হাজার গরুর খামার গড়ে ওঠে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন সোয়া দুই লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে মিল্কভিটা। কিন্তু, করোনাকালে ক্রমাগত বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম। সেই তুলনায় বাড়েনি দুধের দাম। এছাড়া ভেজাল খাদ্যে বেড়েছে গবাদি পশুর অসুখ। লকডাউনে মিলছেনা সঠিক ওষুধ ও ভ্যাকসিন। নানা সংকটে চিন্তিত খামারিরা।
জেলায় প্রতিদিন উৎপাদিত সাড়ে ২০ লাখ লিটার দুধের মধ্যে মিল্কভিটা বাদে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নেয় সাড়ে তিন লাখ লিটার। বাকি দুধ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু লকডাউনে দূরপাল্লার যান বন্ধ থাকায়, স্থানীয়ভাবে নাম মাত্র দামে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে গত বছরের চেয়েও লোকসান বেশি হচ্ছে বলে জানায়, খামারিরা।
গো-খাদ্যের দাম কমানো, দুধের ন্যায্যদাম ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ওষুধ ও ভ্যাকসিন প্রদান অব্যাহত আছে বলে দাবি করে, প্রাণিসম্পদ বিভাগ। জেলায় ১৫ হাজার ৩৮০টি খামারের প্রায় সাড়ে ১০ লাখ গাভি থেকে প্রতিদিন সাড়ে ২০ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।