লুটপাটে জড়িতদের মুক্তিতেই দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে সবল ব্যাংককে এক করছে সরকার : অর্থনীতিবিদরা
- আপডেট সময় : ১১:১৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৬৮৫ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক সবল ব্যাংকের সঙ্গে একিভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। আমানতকারীদের অর্থ, কর্মচারীদের চাকরির নিশ্চয়তার কথা বলা হলেও শঙ্কা কাটছে না সাধারণ মানুষের। ব্যাংকাররা বলছেন, দুর্বল ব্যাংককে দেউলিয়া ঘোষণা না করে, অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত ভালো। কিন্তু তা সচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জের। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংক লুটের সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তি দিতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই আয়োজন।\
দেশের ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের ঘাটতি দীর্ঘদিনের। ঘোষিত খেলাপী ঋণের পরিমান দেড় লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু বাস্তবে এই পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বেশি। এতে তারল্য সংকটে ভুগছে বেশিরভাগ ব্যাংক। ফলে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি।
এই বাস্তবতায় ১১টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মধ্যে প্রথম দফায় ৫টি অতি দুর্বল ব্যাংককে অন্য সবল ব্যাংকের সঙ্গে একিভুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে সফল হলে বাকি ব্যাংকও পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে। বিলুপ্ত ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ও কর্মচারীদের চাকরির সুরক্ষা দেবে নতুন ব্যাংক। তবে শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে সীদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
খেলাপি ঋণের বোঝা কমিয়ে আনার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিতে ৯০৯১ ও ১৯৯৪ সালের আইন অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভুত করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বাস্তবায়ন করাটা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন এই ব্যাংকার।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে, দায়িত্ব নেয়া সবল বাংকগুলোও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ব্যাংক বিলুপ্ত করার পর খেলাপী আদায় আরো কঠিন হবে। তাই এক্ষেত্রে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন ড. সেলিম উদ্দিন। আর অধ্যাপক নসরুল কাদির মনে করেন, ব্যাংক লুটের সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তি দিতেই এই আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বর্তমানে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে দেশে ৬১টি ব্যাংক আছে। ৫টি একীভুত হলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬টিতে।