০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

লুটপাটের জন্য ১৫ বছরে বাজেটের আকার বাড়িয়েছে আওয়ামী সরকার

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৭৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পতিত আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে ঋণ করে বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। যা দিয়ে লুটপাটের স্বার্থে বানানো হয়েছে নানা মেগা প্রকল্প। আর কর্মসংস্থান বিহীন মেগা ব্যয়ের কথিত এসব উন্নয়ন প্রকল্পের দায়ে ১৫ বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে অন্তত ২০০ শতাংশ। জাতির ঘাড়ে বৈদেশিক দেনার ভার চেপেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয়ায় মাথাপিছু ঋণ ও সুদের দায় এখন লাখ টাকার বেশি। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের একক সিদ্ধান্তে রিজার্ভ ভেঙ্গে আর টাকা ছাপিয়ে নৈমিত্তিক খরচ মেটানো হয়েছে হরহামেশা। এসব বিবেচনায় অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, কর আহরণ অনুযায়ী কর্মসংস্থান সহায়ক প্রকল্প রেখে ছোটো করা হোক বাজেটের আকার।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭শ’ ৮৬ কোটি টাকার। এর চার বছর পর ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার ১ হাজার ৯শ’ ৮৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৪ হাজার ৭শ’ ৩৮ কোটি টাকার। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাজেট দেন ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকার এবং ২০০২ সালে দেন ৪৪ হাজার ৮শ’ ৫৪ কোটি টাকার বাজেট। এরপর ২০০৮ সাল থেকেই আওয়ামী আমলে ঋণ-নির্ভরতায় কথিত উন্নয়নের নামে বাজেটের আকার বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে।

২০০৯ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার সরকারের বাজেট ছাড়ায় এক লাখ কোটি টাকা। আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূলো ঝুলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট বানায় ঋণ করে ঘী খাওয়ার উৎসবে মেতে থাকা আওয়ামী সরকার। ঋণ-নির্ভর বাজেটের এমন মেদবহুল আকারকে মূল্যস্ফীতি ও দুর্নীতির হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিশাল আকারের লুটপাটের ফাঁপা বাজেট বানিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছরে জাতির ঘাড়ে চাপিয়েছে ১৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি দেশী-বিদেশী ঋণের বোঝা। এ সুযোগে লুটপাট হয়েছে বেশুমার, আর বিদেশে পাচার হয়েছে অন্তত ২০ লাখ কোটি টাকা। এদিকে, বাজেটের এক-তৃতীয়াংশই এখন ব্যয় হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধে।

এ অবস্থায় দুর্নীতি-অপচয় ও ঋণ কমিয়ে অর্থনীতি বাঁচাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

নতুন বাংলাদেশে অতীতের মতো লুটপাট ও ঋণের বাজেট বন্ধ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষার মতো মৌলিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির তাগিদ জ্যেষ্ঠ এই অর্থনীতিবিদদের কন্ঠে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লুটপাটের জন্য ১৫ বছরে বাজেটের আকার বাড়িয়েছে আওয়ামী সরকার

আপডেট সময় : ০৩:২৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

পতিত আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে ঋণ করে বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। যা দিয়ে লুটপাটের স্বার্থে বানানো হয়েছে নানা মেগা প্রকল্প। আর কর্মসংস্থান বিহীন মেগা ব্যয়ের কথিত এসব উন্নয়ন প্রকল্পের দায়ে ১৫ বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে অন্তত ২০০ শতাংশ। জাতির ঘাড়ে বৈদেশিক দেনার ভার চেপেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেয়ায় মাথাপিছু ঋণ ও সুদের দায় এখন লাখ টাকার বেশি। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের একক সিদ্ধান্তে রিজার্ভ ভেঙ্গে আর টাকা ছাপিয়ে নৈমিত্তিক খরচ মেটানো হয়েছে হরহামেশা। এসব বিবেচনায় অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, কর আহরণ অনুযায়ী কর্মসংস্থান সহায়ক প্রকল্প রেখে ছোটো করা হোক বাজেটের আকার।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭শ’ ৮৬ কোটি টাকার। এর চার বছর পর ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার ১ হাজার ৯শ’ ৮৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে। ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৪ হাজার ৭শ’ ৩৮ কোটি টাকার। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বাজেট দেন ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকার এবং ২০০২ সালে দেন ৪৪ হাজার ৮শ’ ৫৪ কোটি টাকার বাজেট। এরপর ২০০৮ সাল থেকেই আওয়ামী আমলে ঋণ-নির্ভরতায় কথিত উন্নয়নের নামে বাজেটের আকার বাড়তে থাকে অস্বাভাবিকভাবে।

২০০৯ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার সরকারের বাজেট ছাড়ায় এক লাখ কোটি টাকা। আর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূলো ঝুলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট বানায় ঋণ করে ঘী খাওয়ার উৎসবে মেতে থাকা আওয়ামী সরকার। ঋণ-নির্ভর বাজেটের এমন মেদবহুল আকারকে মূল্যস্ফীতি ও দুর্নীতির হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিশাল আকারের লুটপাটের ফাঁপা বাজেট বানিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছরে জাতির ঘাড়ে চাপিয়েছে ১৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি দেশী-বিদেশী ঋণের বোঝা। এ সুযোগে লুটপাট হয়েছে বেশুমার, আর বিদেশে পাচার হয়েছে অন্তত ২০ লাখ কোটি টাকা। এদিকে, বাজেটের এক-তৃতীয়াংশই এখন ব্যয় হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধে।

এ অবস্থায় দুর্নীতি-অপচয় ও ঋণ কমিয়ে অর্থনীতি বাঁচাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।

নতুন বাংলাদেশে অতীতের মতো লুটপাট ও ঋণের বাজেট বন্ধ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষার মতো মৌলিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির তাগিদ জ্যেষ্ঠ এই অর্থনীতিবিদদের কন্ঠে।