শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাভার ও ধামরাইয়ে চলছে শেষে মুহূর্তের প্রস্তুতি
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬২৪ বার পড়া হয়েছে
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাভার ও ধামরাইয়ে চলছে শেষে মুহূর্তের প্রস্তুতি। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত কারিগররা। দিনরাত রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সৌন্দর্য্যবর্ধন করছেন শিল্পীরা। এদিকে পূজায় ব্যবহারে বাদ্যযন্ত্র মেরামত ও নতুন ঢাক-ঢোল তৈরিতে সরগরম কিশোরগঞ্জের ঢাকপল্লী। শত বছর ধরে চলে আসা গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন হাতেগোনা করিগররা। ঢাক শিল্পীদের অভিযোগ, আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের দাপটে অনেকটাই কোনঠাসা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। প্রাচীন এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চান ঢাক শিল্পীরা।
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। উৎসবকে ঘিরে সাভার ও ধামরাইয়ে সবার মাঝেই উৎসব আমেজ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা সাজসজ্জাকরণ। আলাকসজ্জাসহ চলছে সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ।
মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় এরইমধ্যে প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। সু-শৃঙ্খল পরিবেশের লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির এই নেতা।
ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতার কথা জানান সাভার থানার ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যান।
ঢাকার সাভার উপজলায় এবার ২’শ ২৪ আর ধামরাইয়ে ১৯৭টি মন্ডপে দুর্গাৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পূজোয় ব্যবহৃত ঢাক-ঢোল তৈরি এবং মেরামতে ব্যস্ত কিশোরগঞ্জের ঋষি পাড়ার কারিগররা। ঘরের কর্তাদের ব্যস্ততায় সাহায্য করছে গৃহিনীরাও। বংশ পরম্পরায় এ পেশায় জড়িত গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়।
এক সময় এ গ্রামে শতাধিক পরিবার ঢাক শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে কাজ করছে বিশ থেকে পঁচিশটি পরিবার। আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের প্রভাবে পিছিয়ে পড়ছে এ শিল্প।
গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ ঢাক-ঢোল শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাপ-দাদার আদি পেশা ধরে রাখার আশা ঢাক শিল্পীদের।