শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’র প্রতিবাদে শরিফপুরে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০২:৩১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী পুঠিয়ার শিবপুর স্কুল মাঠে বিএনপির জনসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শরিফপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর হত্যা, খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করে বিএনপি। আবারও সেই রাজনীতি করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের চিন্তা এখনও যায়নি। সুযোগ পেলে তারা আবারও জ্বালাও -পোড়াও করতে চায়।’
কিন্তু তাদের আর জ্বালাও পোড়াও করার সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলার জনগন এখন সোচ্চার। বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসী বাহিনীকে বাংলার জনগন এখন দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতা আবু সাইদ চাঁদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়ে আবু সাঈদ চাঁদ রাষ্ট্রদোহীর অপরাধ করেছে। সে বাংলার রাজনীতিতে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চায়। আর যারা বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসবাদ কায়েম করতে চাইবে তাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোন আপোষ নেই। শুধু আবু সাঈদ চাঁদ নয়, চাঁদের মদদদাতাদেরকেও গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনে শাস্তির দাবি জানান প্রধান অতিথি।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম প্রমুখ।
মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হুমাউন রশিদ দিপু, সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মনি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কামরুল হাসান সেলিমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।