০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার দায়ে বিএনপির সাবেক এমপির যাবজ্জীবন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৭৫০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার দায়ে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷ এই মামলার আসামিদের মধ্যে বাকি ৪৪ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা৷ এরপর সড়কপথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়৷ বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছিল সেদিন৷ এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হয়েছিলেন৷

ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷

তখন সাতক্ষীরার আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন৷ আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়৷

ওই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়৷

তদন্ত করে পুলিশ বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়৷

হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনের পৃথক ধারায় দেওয়া তিনটি অভিযোগপত্রের মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় হয় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি৷

তাতে তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির৷

আর অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় গত বছরের ১৪ জুন অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়৷ এর চারদিন পর ১৭ জুন বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়৷

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল মামলা দুটি রায়ের পর্যায়ে আসে৷ টানা দশ মাসের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন৷

আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩৭ জনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়৷ জামিনে থাকা একজনও আদালতে হাজির ছিলেন৷ ১০ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে৷ আর মামলার বিচার চলাকালে মৃত্যু হয় দুইজনের৷

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা লড়েন পিপি আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি ফাহিমুল হক কিসলু অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদসহ কয়েকজন৷

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম; তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভিন বকুল৷

কার কেমন সাজা

মামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি অংশের প্রত্যেকটিতে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রনজু ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রিপনকে যাবজ্জীবন কারা দণ্ড দেওয়া হয়৷

যাদের সাত বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে, তারা হলেন– কলারোয়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আশরাফ হোসেন, উপজেলা মৎস্য দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রকিব মোল্যা, কলারোয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা গাজী আক্তারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, বিএনপি নেতা হাসান আলী৷

উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী, বিএনপি নেতা ময়না, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা ছাত্রদালের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল, বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, যুবদল নেতা মাজাহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক, বিএনপি নেতা আব্দুর রব, উপজেলা কেরালকাতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, যুগীখালী ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকেও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

একই সাজা হয়েছে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রসুল, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, যুবদল নেতা রিংকু, যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ, বিএনপি নেতা আলাউদ্দীন, যুবদল নেতা আলতাফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিকুর রহমান সনজু, ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাজমুল হোসেন, বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন, বিএনপি নেতা সাহেব আলীর৷

এছাড়া বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা টাইগার খোকন, যুবদল নেতা ট্রলি সহিদুল, বিএনপি নেতা কনক, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা ইয়াছিন আলী, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলী, বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান, বিএনপি নেতা বিদার মোড়ল, যুবদল নেতা সোহাগ হোসেন, বিএনপি সমর্থক মাহাফুজার রহমান মোল্যা, জামায়াত কর্মী গফ্ফার গাজী, সাবেক উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মাহাফুজুর রহমান সাবু সাত বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন৷

আসামিদের মধ্যে নাজমুল হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, রিপন, মফিজুল ইসলাম, খালেদ মঞ্জুর, রোমেল, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ও রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন৷

এছাড়া মাহাফুজুর রহমান সাবু ও লাকি বিচার চলাকালে কারাগারে মারা গেছেন৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার দায়ে বিএনপির সাবেক এমপির যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৫:০৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার দায়ে বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷ এই মামলার আসামিদের মধ্যে বাকি ৪৪ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা৷ এরপর সড়কপথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়৷ বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়েছিল সেদিন৷ এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হয়েছিলেন৷

ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷

তখন সাতক্ষীরার আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন৷ আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়৷

ওই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়৷

তদন্ত করে পুলিশ বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়৷

হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনের পৃথক ধারায় দেওয়া তিনটি অভিযোগপত্রের মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় হয় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি৷

তাতে তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতাকর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির৷

আর অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় গত বছরের ১৪ জুন অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়৷ এর চারদিন পর ১৭ জুন বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়৷

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল মামলা দুটি রায়ের পর্যায়ে আসে৷ টানা দশ মাসের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন৷

আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ৩৭ জনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়৷ জামিনে থাকা একজনও আদালতে হাজির ছিলেন৷ ১০ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে৷ আর মামলার বিচার চলাকালে মৃত্যু হয় দুইজনের৷

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা লড়েন পিপি আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি ফাহিমুল হক কিসলু অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদসহ কয়েকজন৷

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম; তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভিন বকুল৷

কার কেমন সাজা

মামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি অংশের প্রত্যেকটিতে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রনজু ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রিপনকে যাবজ্জীবন কারা দণ্ড দেওয়া হয়৷

যাদের সাত বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে, তারা হলেন– কলারোয়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আশরাফ হোসেন, উপজেলা মৎস্য দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রকিব মোল্যা, কলারোয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা গাজী আক্তারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, বিএনপি নেতা হাসান আলী৷

উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী, বিএনপি নেতা ময়না, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা ছাত্রদালের সাবেক সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল, বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, যুবদল নেতা মাজাহারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক, বিএনপি নেতা আব্দুর রব, উপজেলা কেরালকাতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, যুগীখালী ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামকেও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

একই সাজা হয়েছে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রসুল, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, যুবদল নেতা রিংকু, যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ, বিএনপি নেতা আলাউদ্দীন, যুবদল নেতা আলতাফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিকুর রহমান সনজু, ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাজমুল হোসেন, বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন, বিএনপি নেতা সাহেব আলীর৷

এছাড়া বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা টাইগার খোকন, যুবদল নেতা ট্রলি সহিদুল, বিএনপি নেতা কনক, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা ইয়াছিন আলী, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলী, বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান, বিএনপি নেতা বিদার মোড়ল, যুবদল নেতা সোহাগ হোসেন, বিএনপি সমর্থক মাহাফুজার রহমান মোল্যা, জামায়াত কর্মী গফ্ফার গাজী, সাবেক উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মাহাফুজুর রহমান সাবু সাত বছর করে কারাদণ্ড পেয়েছেন৷

আসামিদের মধ্যে নাজমুল হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, রিপন, মফিজুল ইসলাম, খালেদ মঞ্জুর, রোমেল, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ও রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন৷

এছাড়া মাহাফুজুর রহমান সাবু ও লাকি বিচার চলাকালে কারাগারে মারা গেছেন৷

ডয়চে ভেলে