শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মে ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৩৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৬ বছর ধরে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি তাঁকে। ১৯৮১ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে বরণ করতে, প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখো জনতার ঢল নেমেছিলো তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই দীর্ঘ ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকরা। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে ১৯৮১ এর ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর গণতন্ত্র আর প্রগতিশীলতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দিন দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা।
ঝড়, বজ্রপাত, বৃষ্টির মাঝেই, বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। লাখো নেতাকর্মীর চোখের আনন্দাশ্রু সেদিন মিশে ছিল বৃষ্টির জলে। লাখো জনতা, প্রানের নেতাকে দেয় হার্দিক সংবর্ধণা। এ সময় স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর শেখ হাসিনা সেদিন অঙ্গীকার করেন, পিতা শেখ মুজিবের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।
এরপর টানা ৯ বার আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। কেবল দলকেই নয়, শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশকেও। তবে তার এই পথচলা কখনোই মসৃণ ছিল না। তাকে হত্যার জন্য অন্তত ২০ বার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোটের আমলে চালানো হয় গ্রেনেড হামলা।
ওয়ান ইলেভেনের বৈরী সময়েও পিছিয়ে যাননি শেখ হাসিনা। অনেকেই পথভ্রষ্ট হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা ভীত ছিলেন না। জেল থেকেই সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের। জাতিসংঘসহ ২৭টি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পেয়েছেন অসংখ্য স্বীকৃতি। দেশকে নিয়ে গেছেন মধ্যম আয়ের কাতারে। দেশবাসী স্বপ্ন দেখছে উন্নত দেশের তালিকায় সামিল হওয়ার।