শ্রমিকদের কর্মবিরতির কবলে পরে হাপিয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০৫:০৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কবলে পরে হাপিয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দর। একের পর এক প্রতিবন্ধকতা আসায়, টার্মিনালে কন্টেইনার ও বহি:নোঙ্গরে জাহাজ জটের আশংকা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যাবসায়ী নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি বহি:বিশ্বে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন টোল রোডের দু-পাশে অলস বসে আছে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভার। এগুলোর কোনটিতে আমদানী পণ্য বোঝাই করা হয়েছে, কোনটিতে রয়েছে রপ্তানীমুখী পণ্য। নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে স্থবিরতা নেমে এসেছে পণ্য পরিবহনে।
প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার আমদানী পণ্যবোঝাই কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। সমপরিমান রপ্তানীমুখী কন্টেইনার জাহাজিকরণ হয়। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের পণ্য পরিবহণ।
পণ্য পরিবহন না হওয়ায়, বেশ কয়েকটি জাহাজ পণ্য না নিয়েই ছেড়ে গেছে বন্দরের জেটি। পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় বহিঃনোঙ্গোরে বেড়েছে অপেক্ষমান জাহাজের সংখ্যা। এতে বহি:বিশ্বে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে।
আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট পণ্য ও পরিবহণগুলো যে-কোন আন্দোলন কর্মসুচি বাইরে রাখতে প্রয়োজনে আইন করার দাবি ব্যবসায়ীদের।
৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে কন্টেইনারের সংখ্যা; সৃষ্টি হচ্ছে জটের।