শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের মজুরি পরিশোধ করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো
- আপডেট সময় : ০২:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
করোনার কঠিন প্রভাব পড়েছে পাটকল শ্রমিক-পরিবারগুলোর ওপর। অর্থকষ্টে এবং খাদ্য সংকটে খুলনা অঞ্চলের ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবারে এখন চলছে নীরব কান্না। করোনায় প্রাদুর্ভাব রুখতে চলছে লকডাইন, বন্ধ সরকারী-বেসরকারী সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান। তাই কর্মচঞ্চল খুলনার শিল্পাঞ্চলেও এখন শুনশান নীরবতা। বন্ধ থাকায় পাটপণ্য উৎপাদন ও বিক্রি না হবার অজুহাতে শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের মজুরি পরিশোধ করেনি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো।
সপ্তাহ শেষ হলেই মেলে মজুরী। তাই দিয়ে সদাইপাতি করে চলে পাটকল শ্রমিকদের সংসার। কিন্তু করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনায় বর্তমানে রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলগুলো বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া পড়েছে ১২ সপ্তাহের। ফলে নিদারুণ অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯টি সরকারি পাটকলের ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবার।
ত্রাণ সহায়তা দিতেও শ্রমিকদের পাশে নেই কেউ– এমনকি নিশ্চুপ বিজেএমসিও। তাই অর্থ সংকটে থাকা শ্রমিক পরিবারগুলোর শেষ ভরসা- স্থানীয় ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুঁজির অভাবে তারাও বন্ধ করে দিয়েছে বাকিতে পণ্য সরবরাহ।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও বেতন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না মেলায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
বিজেএমসি বলছে, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের চেষ্টা চলছে। আগামী সপ্তাহে শ্রমিকদের কিছু পাওনা আংশিক দেয়া হতে পারে।
খুলনা-যশোর অঞ্চলের পাটকল শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ২শ’ কোটি টাকার প্রয়োজন হলেও সংস্থান নেই বিজেএমসি’র। আর মিল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে ১ কোটি টাকারও বেশী।